অর্থ উত্তোলনের চাপে সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জগুলোর একটি ‘এফটিএক্স’ পৌঁছে গিয়েছিল ধসের কাছাকাছি। এ ঘটনায় বৈশ্বিক ডিজিটাল সম্পদের বাজার প্রতিক্রিয়া অনেকটাই নিরব হয়ে গিয়েছে। ক্রিপ্টো মুদ্রা এক্সচেঞ্জ গুলোর মধ্যে শীর্ষ কোম্পানি বাইন্যান্সের সঙ্গে বিক্রয় চুক্তির বিষয়টি গত কয়েকদিন ধরে ডিজিটাল সম্পদ বাজারের আলোচিত বিষয় ছিল বলে উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
কয়েকদিন ধরে এই খাত সংশ্লিষ্টরা ক্রমাগত ক্রিপ্টো মুদ্রার বিনিময়ে প্রচলিত অর্থ তোলায় বড় এক তারল্য সঙ্কট তৈরি হয় এফটিএক্স এ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এফটিএক্স এর আর্থিক অবস্থা নিয়ে চলমান ঝুঁকির মধ্যে কেবল তিন দিনেই ছয়শ কোটি ডলার তুলেছেন ক্রিপ্টো কারবারীরা। বাইন্যান্স বলছে, তারা এফটিএক্স-এর যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের ইউনিট কিনতে রাজী হয়েছে, যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বাইন্যান্স বলেছে, তারা কোম্পানিটি কেনা নিয়ে এক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করলেও এতে যেকোনো সময় চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে। এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতা ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড টুইটে বলেন, ব্যাকলগ যেমন আছে তেমনভাবেই তুলে নিতে কাজ করছে আমাদের দল। এটি তারল্য মুছে ফেলবে, সমস্ত সম্পদ ১ঃ১ ভিত্তিতে বণ্টন হবে।
আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গ্রাহকরা সুরক্ষিত, তারা এখনো সেরা জায়গাতেই আছেন বলে যোগ করেন তিনি। ব্যাংকম্যান-ফ্রাইডের এই সাফাইয়েও কাজ হয়নি। খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর থেকেই অর্থ উত্তোলনের চাপ এসেছে ডিজিটাল সম্পদের বাজারে, যেখানে ব্যাপক ধসের মুখে পড়েছে বিভিন্ন ক্রিপ্টোমুদ্রা। নিজেদের মূল্যমান ১০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের নভেম্বরের পর থেকে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে বিটকয়েন।
অন্যদিকে, বাজার মূল্যের ১৯ শতাংশের বেশি হারিয়েছে অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম রবিনহুড। যেখানে কয়েনবেজ হারিয়েছে ১০ শতাংশ। ক্রিপ্টোমুদ্রা বাজারের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে এফটিএক্স এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড ও বাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী চ্যাংপেং ‘সিজি’ ঝাওকে বিবেচনা করা হয়। এফটিএক্স এ চলমান এই চাপের কথা রোববার এক টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন চ্যাংপেং ঝাও।
মঙ্গলবার টুইট করে চ্যাংপেং ঝাও বলেছেন, নিজস্ব এফটিএক্স ডিজিটাল টোকেনের হোল্ডিং বিক্রি করবে বাইন্যান্স, যা ‘এফটিটি’ নামে পরিচিত। সাম্প্রতিক উদ্ঘাটনে যেসব বিষয় জানা গেছে, তার ফলে আমাদের অবশিষ্ট ‘এফটিটি’ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এই সপ্তাহে নিজস্ব মুল্যমানের প্রায় ৮০ শতাংশ হারিয়েছে এফটিটি। এই বিকেলে, এফটিএক্স সহায়তা চেয়েছে।
তবে, এতে ব্যাপক তারল্য সঙ্কট রয়েছে।