Reading Time: 2 minutes

অক্টোবরে গুগলের বিরুদ্ধে বাজারে নিজেদের প্রভাবশালী অবস্থান অপব্যবহারের অভিযোগ তোলে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বা সিসিআই। আর অন্যায্য ব্যবসায়িক অনুশীলনের অভিযোগ তুলে কোম্পানির ওপর জরিমানাও আরোপ করে সংস্থাটি। অ্যান্ড্রয়েড বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভারতীয় এক নিয়ন্ত্রক সংস্থার করা মামলায় প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলকে দেওয়া ১৬ কোটি ডলারের জরিমানার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে দেশটির এক আদালত।

ভারতে ৯৫ শতাংশের বেশি স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। ভারতের ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল বা এনসিএলএটি বলেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বা সিসিআই এর অনুসন্ধান সঠিক ছিল। আর এই জরিমানা দিতে দায়বদ্ধ গুগল। তবে, কোম্পানির ওপর আরোপিত ১০টি অ্যান্টি-ট্রাস্ট নির্দেশের চারটিই সরিয়ে দিয়েছে ওই আদালত।

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেমে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনার শর্ত দিয়েছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে ফোন উৎপাদকদের বিভিন্ন গুগল অ্যাপের গোটা সংগ্রহ আগে থেকে ইনস্টল করতে বাধ্য না করা ও ব্যবহারকারীর ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন বাছাইয়ের সুবিধা দেওয়ার মতো বিষয়গুলো। জানুয়ারিতে দেশটির নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে রাজি হয় গুগল। পাশাপাশি, ভারতের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার ঘোষণাও দেয় কোম্পানিটি।

এনসিএলএটি এই রায় বহাল রেখেছে বুধবার। আপিল আদালতের সিদ্ধান্তের আংশিক মানে দাঁড়ায়, ব্যবহারকারীর ফোনে আগে থেকে ইনস্টল করা বিভিন্ন অ্যাপ সরানোর ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করতে পারে বিভিন্ন প্রযুক্তি জায়ান্ট। আর গুগল নিজস্ব অ্যাপ স্টোর ব্যবহার না করেই ব্যবহারকারীর অ্যাপ ডাউনলোডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ চালিয়ে যেতে পারে। আর প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন থার্ড-পার্টি অ্যাপ স্টোর সরানোর বেলাতেও কোম্পানি কোনো বাধার মুখে পড়বে না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অভিযোগ আসার পর তদন্ত শুরু হয় ২০১৬ সালে। এর সঙ্গে মিল রয়েছে গুগলের বিরুদ্ধে ইউরোপে পরিচালিত এক মামলার, যেখানে নিজস্ব অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে স্মার্টফোন বাজারে অন্যায্য সুবিধা ভোগের অভিযোগে নিয়ন্ত্রকরা কোম্পানিকে পাঁচশ কোটি ডলার জরিমানা করেছিল। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া জরিমানা ও নির্দেশনাকে চ্যালেঞ্জ করে গুগল বলেছে, অন্য কোনো বিচারব্যবস্থা কখনও এই ধরনের সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনের কথা বলেনি।

তারা যুক্তি দেখিয়েছে, এই পরিবর্তন কোম্পানিকে এক হাজার একশটির বেশি ডিভাইস নির্মাতা ও হাজার হাজার অ্যাপ নির্মাতার ব্যবহৃত ব্যবস্থা পরিবর্তনে বাধ্য করবে। তবে, সিসিআই এর বিভিন্ন নির্দেশনা বন্ধে অস্বীকৃতি জানিয়ে কোনো নিম্ন আদালতে আপিলের শুনানি চালিয়ে যেতে বলেছে দেশটির শীর্ষ আদালত।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.