Reading Time: 2 minutes

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ভাইরাল হওয়া চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে গুগল নতুন টুল নিয়ে আসছে এমন তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে। বার্ড নামে নতুন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে সার্চ জায়ান্ট গুগল। কথোপকথনের এআই সেবা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটালেও পরীক্ষামূলক এই সেবাটি এখনই চালু করছে না এই ইন্টারনেট জায়ান্ট। এই ধরনের টুল চালু করায় পথপ্রদর্শক হতে না পারায় এরইমধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নেরও মুখোমুখি হয়েছে গুগল।

জবাবে গুগল এগুলোর সম্ভাব্য বিপদের কথা বলছে। আপাতত এই ব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সার্চ জায়ান্ট। গুগল বলছে বার্ড উক্ত কোম্পানির বৃহৎ ভাষার মডেলগুলোর শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতার সঙ্গে বৈশ্বিক জ্ঞানের বিস্তৃতিকে একত্রিত করতে চায়। নতুন, উচ্চ-মানের প্রতিক্রিয়া প্রদানে এটি ওয়েব থেকে তথ্য নেয়। গুগলের কাজ করা বেশ কিছু সংখ্যক টুলের অন্যতম হিসেবে এক ব্লগ পোস্টে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাই।

ঘোষণার সময় কোম্পানিটি ওপেনএআইর চ্যাটজিপিটি সম্পর্কে কোনো কিছু উল্লেখ করেনি বা বহুল ব্যবহৃত জনপ্রিয় এই চ্যাটবটের সঙ্গে নিজস্ব ব্যবস্থার তুলনাও করেনি। বরং, নতুন এই টুল কী ধরনের কাজ করতে পারে, ওই বিষয়টির ওপর বেশি মনযোগ দিয়েছে গুগল। কোনো পিয়ানোতে কতগুলো কি আছে, বেশ কিছু সময় ধরেই ব্যবহারকারীরা গুগলকে এমন সুনির্দিষ্ট ও যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন করে আসছেন। তবে, নতুন ব্যবস্থায় তুলনামূলক সাধারণ প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়া যাবে।

গুগল প্রধান জানান, পিয়ানো বা গিটার সহজেই শেখা সম্ভব কিনা বা, এগুলো শিখতে কতো সময় লাগবে এমন প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়া যাবে। গুগলের সার্চ টুলে বেশ কিছু সংখ্যক এআই টুল চালুর ইঙ্গিত দিয়েছেন পিচাই। এর মধ্যে সবার আগে এমন এক নতুন ব্যবস্থা আসবে, যা সার্চ ইঞ্জিনকে বিভিন্ন জটিল প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ উপায়ে বুঝতে সহায়তা করবে ও সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদানের পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে এর একাধিক দৃষ্টিকোণ দেখাবে।

বিজ্ঞাপন (কেন?)

তবে, এইসব নতুন টুল চালুর বেলায় কোম্পানি কতোটা দায়িত্বশীল হওয়ার লক্ষ্যস্থির করেছে, ওই বিষয়টির ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি। গুগল ও অন্যান্য কোম্পানি ক্রমাগত পরামর্শ দিয়ে এসেছে, তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক কার্যক্রম এখন পর্যন্ত আংশিকভাবেও সামনে আসছে না কারণ তারা তাড়াহুড়া করে এগুলো চালু করার ঝুঁকি এড়াতে চায়। তিনি আরও বলেন, গুগলের কার্যক্রম বেশ কিছু সংখ্যক ভাইরাল এআই তৈরির পেছনে সহায়তা করেছে, এমনকি সেগুলো কোম্পানির মাধ্যমে উন্মোচিত না হলেও।

তিনি বলেন, গুগলের গবেষণা ও প্রকৌশল এখন মানুষের দেখা বেশ কিছু জেনারেটিভ এআই অ্যাপ্লিকেশনের মূল ভিত্তি। ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন ওই পোস্টকে গুগল সমালোচকদের জবাব হিসেবেই বর্ণনা করেছে, বিশেষ করে যারা বলছেন, কোম্পানিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খাতে পিছিয়ে রয়েছে। এতে গুগলের বেশ কিছু পদক্ষেপের কথাও উঠে এসেছে যাকে কোম্পানিটি বলছে তাদের ‘এআই যাত্রা’। এই ব্যবস্থা ও এর খুঁটিনাটি নিয়ে দুই বছর কাজ করার কথা বলেছে এই কোম্পানি।

নির্ভরযোগ্য পরীক্ষকদের কাছে উন্মুক্ত করে প্রকল্পটিকে আরও এক ধাপ এগোনোর পর আসন্ন সপ্তাহগুলোতে এটি সার্বজনীনভাবে চালুর কথাও জানিয়েছে তারা। তবে গুগলের এ পদক্ষেপ কেমন ফল দেবে সেটিও এখনো নিশ্চিত নয়। 

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.