ওই মামলায় আরও জানানো হয়েছে ওই ভিডিও দুটি Youtube-এ প্রায় আট লাখ বার দেখা হয়েছে। এবং এক প্রকার প্রতিহিংসামূলক পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগও উঠেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পাওয়া যায়। যেগুলোতে কোটি কোটি ভিউ হয় অল্প সময়েই। তবে সেই ভিডিওর জন্য বিভিন্ন সময় জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়েছে প্ল্যাটফর্মটিকে। এবার বেশ বড়সড় জরিমানার মুখে পড়েছে ইউটিউব।
ইউটিউবে এক পদস্থ রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ চালিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবন নষ্ট করেছে গুগল! অস্ট্রেলিয়ার এক আদালত সেই ‘অপরাধের’ শাস্তি দিল গুগলকে। আদালতের নির্দেশ, ওই রাজনীতিবিদকে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই জরিমানা করা হয়েছে গুগলকে। যেহেতু ইউটিউবের প্যারেন্টিং সাইট হচ্ছে গুগল। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে গুগল। সে কারণে জরিমানা দিতে হবে ওই সংস্থাকে। কারণ আদালতের মতে, গুগলের অদূরদর্শিতার জন্যই ওই রাজনৈতিক নেতাকে সময়ের আগে তাঁর কেরিয়ারে ইতি টানতে হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ওই রাজনীতিবিদের নাম জন বারিলারো। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ নিউ সাউ ওয়েলসের উপ-প্রধান। অস্ট্রেলীয় আদালত জানিয়েছে, জনকে আক্রমণ করে ইউটিউবে দু’টি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন এক রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার। সেই ভিডিয়ো দু’টি ইউটিউবে আট লক্ষবার দেখা হয়েছে।
জনকে টার্গেট করে ২০২০ সালে ইউটিউবে দুটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন একজন ইউটিউব ব্যবহারকারী। ওই ভিডিও দুটি আপলোড করেছেন জর্ডন শ্যাঙ্কের ব্যক্তি। তিনি পেশায় একজন কমেডিয়ান। জনের অভিযোগ, ওই ভিডিও আপলোডের ফলে তার মানহানি হয়েছে। এজন্য ইউটিউবের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি।
ইউটিউবে রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার জর্ডন শ্যাঙ্কের পোস্ট করা ওই দু’টি ভিডিও তে রাজনীতিবিদ জনকে একজন দুর্নীতিবাজ, রাজনীতিবিদ বলার পাশাপাশি, তাঁর চারিত্রিক সততা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এমনকি, তাঁকে বৈষম্যবাদী বলেও মন্তব্য করা হয়। ২০২০ সালের ওই ভিডিও দু’টির জেরে ২০২১ সালের অক্টোবরে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রাজনীতি ছাড়তে বাধ্য হন জন।