ইউরোপিয়ান কমিশন জানিয়েছে, ভুল তথ্য বন্ধের প্রচেষ্টায় অ্যালফাবেট মালিকানাধীন গুগল, মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, মাইক্রোসফট ও টিকটকের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যম টুইটার। আর এই বিষয়ে তাদের বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট কনটেন্টে বিজ্ঞাপনী আয় কতোটা এড়াতে পেরেছে, প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন কতোটা গৃহিত বা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে ও কতোগুলো জালিয়াতিমূলক আচরণের ঘটনা শনাক্ত করেছে, ওই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রতিবেদনে।
সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্য ঠেকানোর প্রশ্নে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন প্লাটফর্ম টুইটার। বিভিন্ন ভুল তথ্য নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইইউ এর কোড অফ প্র্যাক্টিস মেনে চলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার গত ছয় মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে বিভিন্ন কোম্পানি। গত বছর ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট নামে পরিচিত নতুন অনলাইন কনটেন্ট নীতিমালার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে এই আইনের ক্ষমতা বাড়িয়েছে কমিশন।
এটি লঙ্ঘন করলে কোম্পানিগুলোর বৈশ্বিক আয়ের ছয় শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন নিয়ন্ত্রকগণ। ইইউ এর নির্বাহী বলেন, এই প্রতিবেদনে ডেটা তুলনামূলক কম। আর এতে ফ্যাক্ট চেকারদের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরবর্তী প্রতিবেদন জমা দিতে হবে জুলাইয়ের মধ্যে। বৃহস্পতিবার একটি ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার চালু করেছে কোডে স্বাক্ষরকারী সদস্যরা। এটি তাদের ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টা পরীক্ষার উদ্দেশ্যে অনলাইন তথ্যে প্রবেশের অনুমতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক, গবেষক ও বিভিন্ন এনজিওকে।
কমিশনের ভ্যালুস অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জোউরোভা বিশেষভাবে টুইটারের সমালোচনা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, টুইটারের প্রতিবেদন অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকায় তিনি হতাশ বোধ করছে। আর আইন মেনে চলার বিষয়ে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।