জুনায়েদ আহমেদ পলক ভার্চুয়াল প্রেজেন্স প্লাটফর্ম
Reading Time: 2 minutes

দেশে ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মেটা ভার্সন এবং ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পলক বলেন, অনেক ব্যবসায়ীর পক্ষেই সরাসরি গিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। সে কারণে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে না গিয়ে বিদেশ থেকেই বাংলাদেশের মাটিতে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সোমবার (১০ই মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প ভবনে আয়োজিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত “ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি ইনভেস্টমেন্ট সামিট” এ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-১ আসনের এম পি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়া সংসদ সদস্য নাহিদ খান এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের

এস.ডি.জি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম নিউইয়র্কে কনসাল্ট জেনারেল মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপ ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এখানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আইটি/আইটিইএস খাতের ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন (কেন?)

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন ২০৩১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় দেশে পরিণত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ অর্জন করেছি। দেশে ৯০ শতাংশের বেশি নাগরিককে ই-সার্ভিসের আওতায় আনা হয়েছে। ICT সেক্টরে বিগত ১৩ বছরে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মস্থান নিশ্চিত হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে ২০১০ সাল থেকে দেশের ICT খাতে প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ১০ শতাংশ করে বেড়ে চলেছে।

দেশে দুই হাজার পাঁচশর বেশি স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রিক ব্যবসা করছে। বর্তমানে স্টার্টআপে বিনিয়োগ প্রায় সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সারে সাত হাজার কোটি টাকা। আইটি/আইটিইএস খাতে ২০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল কর্মীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি সেক্টরে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি,

শতভাগ ই-সার্ভিস প্রদান, ২০৩১ সালের মধ্যে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক, অগ্রসরমান অর্থনীতি, উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা এবং মাথাপিছু ১২ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি। এটা নিয়ে এখন আমরা কাজ করছি। সম্মেলনে দেশের হাই-টেক পার্কে ১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক প্রবাসী বাংলাদেশি মিস্টার ববি। “ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি ইনভেস্টমেন্ট সামিট”-এ অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দেন ববি নামের ওই প্রবাসী বাংলাদেশি।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.