বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় চালু হচ্ছে মোবাইল অ্যাপস ও গেম টেস্টিং ল্যাব। নাটোর জেলার কাদিরাবাদস্থ দয়ারামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বাউয়েট) মোবাইল অ্যাপস এন্ড গেম টেস্টিং ল্যাব চালু হলো। আজ শনিবার দুপুরে ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই ল্যাবের উদ্বোধন করেন। আইসিটি বিভাগের ‘মোবাইল গেম এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে এই ল্যাবটি স্থাপন করা হয়।
এসময় নাটোর-১ এর সংসদসদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, বাউয়েট উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফা কামাল, কাদিরাবাদ সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মনিরুজ্জামান, এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারেক জুবায়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। প্রসঙ্গত, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪০টি মোবাইল অ্যাপস অ্যান্ড গেম টেস্টিং ল্যাবপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
৮টি বিভাগীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপস ও গেম টেস্টিং সেন্টার, ৯টি মোবাইল অ্যাপস ও গেম ডেভেলপমেন্ট মার্কেটিং অ্যান্ড প্রমোশন, ৪ জন পরামর্শক সেবা ক্রয় এবং প্রাইস কন্টিজেন্সি ব্যয় মেটানো হচ্ছে। এছাড়া ও প্রকল্পের আওতায় ৭ হাজার ৪২৫ জনের প্রশিক্ষণ, ২৮৯টি মোবাইল অ্যাপস ও গেম ডেভেলপমেন্ট এবং ৩৩টি জেলা পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপস টেস্টিং সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ল্যাব উদ্বোধন শেষে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৩ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে পিছিয়ে পড়া স্বল্পোন্নত দেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
ওই সময়ে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উচ্চাভিলাসী রুপকল্প প্রদান করা হয়। বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমে দেশ এখন সারাবিশ্বে প্রযুক্তিতে অগ্রগামী। এদেশের সোনার মানুষকে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়। সারাদেশে ১৩ হাজার স্কুল কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এভাবেই ২০৪১ সালের প্রযুক্তি নির্ভর মেধাবী উন্নত দেশ গড়তে কাজ করে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেছে মন্ত্রী।
তারুণ্যের অফুরান শক্তিতে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি এবং মাইক্রো প্রসেসর নিয়ে কাজ করছে দেশের প্রযুক্তি খাত। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শীর্ষ প্রযুক্তির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। যদিও মোবাইল অ্যাপ এবং গেম টেস্টিং এর ক্ষেত্রে আলাদা কোন ল্যাবের প্রয়োজন নেই।
কেননা, মোবাইল অ্যাপ ও গেম টেস্টিং সাধারণত ক্লাউডের মাধ্যমেই সম্পন্ন করা সম্ভব।