সদ্য পদত্যাগ করা ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার সাবেক দ্বিতীয় শীর্ষ কর্তা ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গের বিগত বছরের কাজকর্ম নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানটির (মেটার) আইনজীবীরা।
শেরিল স্যান্ডবার্গ চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) পদে থাকাকালীন নিজস্ব কাজকর্মে মেটার সম্পদের অপব্যবহার করেছেন কি না, সেটি যাচাই করে দেখছেন তারা।শেরিল স্যান্ডবার্গ এর বিষয়ে এরইমধ্যে নিজেদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মেটা।
গত ২ জুন বৃহস্পতিবার দির্ঘ্য ১৪ বছর ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার (Meta) চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) পদে থাকাকালীন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলেন শেরিল স্যান্ডবার্গ। ফেসবুককে একটি স্টার্টআপ থেকে মাল্টিবিলিয়ন-ডলারের বিজ্ঞাপনের পাওয়ার হাউসে রূপান্তরিত করতে মেধা ও শ্রমের সর্বোচ্চটুকু ঢেলে দেন তিনি। তিনি ফেসবুকের সম্পদের অপব্যবহার করবেন সেটা ভাবাও একটু মুশকিল।
প্রতিবেদনে কয়েক বছর আগে শেরিলের ব্যক্তিগত প্রকল্পে মেটার কর্মীদের ব্যবহারের বিষয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। স্যান্ডবার্গ প্রথম যখন প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি গ্রহণের ঘোষণা দেন, সে সময় নিজের বিয়ের পূর্বপ্রস্তুতিতে মেটার কোনো সম্পদ অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন কিনা তার তদন্ত শুরু হয়েছিল বলে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছিল।
শেরিল স্যান্ডবার্গের ফাউন্ডেশন লিন ইনের পাশাপাশি সম্প্রতি প্রকাশিত বই ‘অপশন বি’র প্রচারণায় ফেসবুকের কর্মীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি যাচাই করছেন মেটার আইনজীবীরা। এগুলো ছাড়াও অ্যাক্টিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও শেরিলের সাবেক বয়ফ্রেন্ড ববি কটিক-সংক্রান্ত একটি নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধে ফেসবুকের কর্মীদের ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এসব ঘটনার বিষয়ে যদি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে না জানানো হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানটি রেগুলেটরি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি চালু করতে পারে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ব্যক্তিগত কাজে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ব্যবহারের কারণে শেরিলের কাছে মেটা অর্থ দাবিও করতে পারে। এ বিষয়ে মেটার কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মেটার সঙ্গে শেরিলের সম্পর্কে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে, আইনজীবীদের তদন্ত সেটিকেই নির্দেশ করছে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যান্ডবার্গ ও মার্ক জাকারবার্গের ব্যক্তিগত জীবনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ দুজনের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিতে ও ভ্রমণে মেটা প্রতি বছর লাখ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। সেই সঙ্গে দুই মুখপাত্রই তাদের ব্যক্তিগত কাজে ফেসবুকের কর্মীদের ব্যবহার করেছেন।