এক সময় হুয়াওয়ে প্রযুক্তি বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে এগিয়ে থাকা কোম্পানি ছিল। বর্তমান শীর্ষ তালিকায় থাকা অ্যাপলের চেয়েও কয়েক ধাপ এগিয়ে ছিল হুয়াওয়ে। চীনের এই বৃহৎ কোম্পানি নিরাপত্তা ভঙ্গ, তাদের নিজস্ব স্পাইং সংক্রান্ত কর্মকান্ডের ফলে হুয়াওয়ের উপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্লেস্টোর থেকে শুরু করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন হুয়াওয়ে স্মার্টফোন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হুয়াওয়ে ব্যবহারকারীরা যার ফলে প্লেস্টোরের যাবতীয় সেবাগুলো ইন্সটল করতে পারছেন না।
তবে এ ব্যাপারে থেমে নেই হুয়াওয়েও। যেহেতু হুয়াওয়ে চীনের একটি সুবিশাল কোম্পানি এবং বিশাল আকারের দক্ষ কমর্চারী, ডেভেলপাররা সেখানে কাজ করছে সেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা করে হুয়াওয়ে নিজেরাই তাদের সার্চ ইঞ্জিন সহ অ্যাপ ইন্সটল করার বিকল্প উপায় চালু করেছে এবং এটি ইয়ানডেক্সের চেয়ে এগিয়ে। হুয়াওয়ের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে চালু করেছে পেটাল সার্চ, যেখান থেকে হুয়াওয়ে ব্যবহারকারীরা সরাসরি তাদের প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ইন্সটল করতে পারবেন।
বিকল্পভাবে অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য রয়েছে “অ্যাপ গ্যালারি”। পেটাল সার্চ ডাউনলোড করতে চাইলে অ্যাপ গ্যালারিতে গিয়ে ডাউনলোড করা যাবে। যেহেতু পেটাল সার্চ হুয়াওয়ের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন টুল সেহেতু যাবতীয় অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীরা পেটালে সার্চ এ গিয়ে অ্যাপের নাম লিখে সার্চের মাধ্যমে ডাউনলোড করতে পারবেন। সার্চ করতে সময়ে অ্যাপস অপশন ট্যাপ করলেই বিভিন্ন অ্যাপস সামনে চলে আসবে। পেটাল সার্চে এপিকে ডাউনলোড সাইট সহ হুয়াওয়ের অ্যাপ গ্যালারি অন্তুভূক্ত অন্যান্য অ্যাপগুলিও একসাথে থাকছে।
সেখানে এপিকের সাথে অ্যাপ গ্যালারির অন্তর্ভূক্ত অ্যাপগুলো ডাউনলোড করার সময়ে সরাসরি অ্যাপ গ্যালারিতে নিয়ে যাবে। এছাড়াও আরেকটি ভাল দিক হচ্ছে এখানে অফিসিয়ালি অনেকগুলো অ্যাপ রয়েছে যেগুলোর ডাউনলোড সোর্স তাদের নিজস্ব কোম্পানি থেকেই। তাই সেক্ষেত্রে থার্ড পার্টির নিকট অনুমতি নেয়ার দরকার পড়ছে না। সেখানে পছন্দমত যেকোন একটি অ্যাপ ইন্সটল করতে ইন্সটল অপশনে ট্যাপ করলে পেটাল ব্যবহারকারী যে উৎস থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ইচ্ছুক সেই উৎসের অনুমতি চাইবে।
এরপর সহজে অ্যাপটি ডাউনলোড কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন ব্যবহাকারীরা। পেটাল সার্চে অফিসিয়াল সোর্স হতে অ্যাপ ডাউনলোডের সুবিধা থাকলেও এতে বেশ কিছু আনঅফিসিয়াল সোর্স অ্যাপ ও রয়েছে। আনঅফিসিয়াল সোর্সের অ্যাপগুলো যেহেতু থার্ড পার্টির মাধ্যমে পরিচালিত হয় সেহেতু এখানে নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে উক্ত অ্যাপগুলো। আর হুয়াওয়ে কোম্পানি নিজেরাই নিরাপত্তা ভঙ্গের ব্যাপারে এগিয়ে।
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত সব তথ্য সংগ্রহ করাসহ হুয়াওয়ের সেই তথ্যগুলো স্থানীয় বাইরের সার্ভারে প্রেরণ করে। চীনের সরকারের নিকট তথ্য হস্তান্তরের ব্যাপারে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।