মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল যে বর্তমানে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন আইফোন ১৪ সিরিজের ডিভাইসগুলি গ্লোবাল মার্কেটে লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সামনের দু মাস পরেই এই প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেটগুলি বাজারে লঞ্চ হবার পরিকল্পনাও চলছিল। তবে দূর্ভাগ্যবশত অ্যাপলের ক্ষেত্রে এই মূহুর্তে এটি আর হচ্ছে না। সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, অ্যাপলের জনপ্রিয় আইফোন ১৩ ও আইফোন ১২ মডেলগুলি কলম্বিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৫জি হার্ডওয়্যার এসেনশিয়াল পেটেন্ট ভঙ্গের অভিযোগে এপ্রিলে বোগোতার একটি আদালতে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এরিকসন কে একচেটিয়াভাবে ৫জি এর স্ট্যান্ডার্ড এসেনশিয়ালসের পেটেন্ট ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়, যা ২০৩৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। এদিকে সেই পেটেন্টই ব্যবহার করেছে অ্যাপল। তাই সাম্প্রতিক মামলায় এরিকসনের পক্ষেই আদালত তার রায় দিয়েছে, আর এর ফলে বেশ বড়োসড়ো ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে অ্যাপল।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে অ্যাপল আদালতকে জানিয়েছে যেহেতু 5G নেটওয়ার্ক এখনও সেদেশে উপলব্ধ নয়, তাই ওই কম্পোনেন্টগুলি তারা এখনও ব্যবহার করেনি। কিন্তু এর প্রত্যুত্তরে আদালত বলেছে যে, 5G এর ট্রায়াল আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক উপলব্ধ হলে মানুষ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং পেটেন্টের লঙ্ঘন হবে।
কলম্বিয়ায় সংস্থাটি আর এই স্মার্টফোনগুলি বিক্রি করতে পারবে না, সেদেশের বোগোতা আদালত এমনই নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে যে অ্যাপল কলম্বিয়ায় কোনো 5G কানেক্টিভিটিযুক্ত ডিভাইস যেমন – আইফোন ১৩, আইফোন ১২, কিংবা ৫জি সাপোর্টেড আইপ্যাড বিক্রি করতে পারবে না। সংস্থাটি পেটেন্ট ভঙ্গ করেছে বলে আদালতের তরফে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আদালতের এই নির্দেশিকার পর অ্যাপল উল্লিখিত প্রোডাক্টগুলির নতুন স্টক ইমপোর্ট করতে পারবেনা, এমনকি বিজ্ঞাপন প্রচার করতেও পারবে না।
তদুপরি, সংস্থাটি ইতিমধ্যেই জমা থাকা স্টকের প্রোডাক্টও বিক্রি করতে পারবে না বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। এর অর্থ হল, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য টেক জায়েন্টটি বাইরের কোনো আদালতে আপিল করতে পারবে না। এছাড়া, অ্যাপলকে আরও জোরদার ধাক্কা দিতে এসবের পাশাপাশি অ্যান্টিস্যুট ইঞ্জেকশনও প্রয়োগ করেছে আদালত।