সম্প্রতি দুটি মোবাইল গেম টাইটেল নিয়ে আসছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্স। সেই সাথে থাকছে আরো অ্যাসাসিন’স ক্রিড সিরিজের একটি মোবাইল গেম। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নেটফ্লিক্সে আসন্ন অন্য মোবাইল গেম দুটি হচ্ছে ‘ভ্যালিয়ান্ট হার্টস’ এর সিক্যুয়েল, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি একটি ‘পাজল অ্যাডভেঞ্চার’ গেম। আর আছে এপিক লুটের নতুন ‘মাইটি কোয়েস্ট’ গেম, যেটিকে ইউবিসফট আখ্যা দিয়েছে ‘হ্যাক-অ্যান্ড-স্ল্যাশ অ্যাডভেঞ্চার’ হিসেবে।
শনিবার গেমগুলোর প্রকাশক ইউবিসফট এ খবর নিশ্চিত করেছে। ইউবিসফট এক বিবৃতিতে জানায়, এই সব গেম নেটফ্লিক্সের মোবাইল অ্যাপ ও গ্রাহক সেবার সঙ্গে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, গেমগুলো ডাউনলোড করা যাবে এবং কোনো বিজ্ঞাপন বা ‘ক্ষুদ্র লেনদেন’ থাকবে না এতে। নতুন ভ্যালিয়ান্ট হার্টস গেমটি আসবে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এপিক লুটের মাইটি কোয়েস্ট গেমটিও আসবে ২০২৩ সালে। এ ছাড়া, অ্যাসাসিন’স ক্রিড গেমটির কাজ চলছে।
নেটফ্লিক্সের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা গ্রেগ পিটার্স বলেছেন, তারা পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু নতুন পরীক্ষা চালাবেন। তিনি বলেন দীর্ঘমেয়াদে যে পুরস্কারের দিকে তাদের দৃষ্টি রয়েছে সেটি এমন সুবিধা তৈরির ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে, যা মহাবিশ্ব, চরিত্র ও আমাদের তৈরি বিভিন্ন গল্পের সঙ্গে মিলে যায়। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে স্ট্রেঞ্জার থিংস: ১৯৮৪ ও স্ট্রেঞ্জার থিংস ৩: দ্য গেমসহ বেশ কয়েকটি টাইটেল আছে যেগুলো নেটফ্লিক্স প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিনেট।
২০২০ সালের শেষে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দিয়েছিল, অ্যাসাসিন’স ক্রিড ভিত্তিক একটি ‘লাইভ-অ্যাকশন’ টিভি সিরিজ নিয়ে তারা কাজ করছে, যা ইউবিসফটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও গেমিং ফ্রাঞ্চাইজগুলোর একটি। ২০২১ সালের জুলাই মাসে ভিডিও গেম খাতের দিকে পা বাড়ানোর খবর নিশ্চিত করেছিল নেটফ্লিক্স। ওই বছরের নভেম্বর মাসেই নিজেদের প্রথম পাঁচটি মোবাইল টাইটেল প্রকাশ করে তারা। এর পর অন্যান্য বেশ কয়েকটি গেম এসেছে নেটফ্লিক্স প্ল্যাটফর্মে।
আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর জন্য বর্তমানে ২০টিরও বেশি মোবাইল গেম আছে এতে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০টিতে নিতে চায় প্ল্যাটফর্মটি। গেমিং খাতে নিজেদের পদচারণাকে অবশ্য ‘কয়েক-বছরের’ দীর্ঘ প্রক্রিয়া হিসেবে আখ্যা দিয়েছে নেটফ্লিক্স। প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সিনেমা ও টিভি শো’র পাশাপাশি ভিডিও গেমকেও এর অংশ করার আশা ব্যক্ত করেছে স্ট্রিমিং সেবাটি। এদিকে গত মাসে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, নেটফ্লিক্সের ২২ কোটি ১০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে নেটফ্লিক্সের গেম ডাউনলোড করেছে এক শতাংশেরও কম।
নিজেদের ক্রমশ বাড়তে থাকা গেমিং লাইব্রেরি গ্রাহকদের ব্যবহারে উৎসাহী করতে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সকে অনেকটাই খারাপ সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে। অতীতে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের সিনেমা অথবা ওয়েব ভিত্তিক কনটেন্টে সাফল্য দেখালেও গেমিংয়ে এখনও আশানুরূপ ফলাফল দেখাতে পারছে না নেটফ্লিক্স নামক এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি। প্রযুক্তি ভিত্তিক সাইট অ্যান্ড্রয়েড পুলিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সংখ্যা স্ট্রিমিং সেবাটির সকল ব্যবহারকারীর কেবল এক শতাংশ দেখাচ্ছে।