মঙ্গলবারে যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডেটা সেন্টার অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অসহনীয় তাপমাত্রাকেই দায়ী করছে গুগল ওরাকল প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েছে এই তাপদাহ। এর প্রভাব পড়েছে গুগল ক্লাউড ও ওরাকলের ওপরেও। প্রচন্ড তাপদাহে সার্ভার শীতল রাখতে ব্যর্থ হবার কারনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উভয় কোম্পানির ডেটা সেন্টার।
গুগল ক্লাউডের স্ট্যাটাস পেজে কোম্পানিটি জানিয়েছে শীতলীকরণ ব্যর্থতার শিকার হয়েছিল, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত কোম্পানির ডেটা সেন্টারগুলোর মধ্যে গুগল একটি। এতে ওই অঞ্চলে সক্ষমতা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার ফলে ভার্চুয়াল মেশিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং আমাদের অল্প সংখ্যক গ্রাহক এর ভুক্তভোগী হয়েছেন। আরও ক্ষয়ক্ষতি রুখতে গুগল কিছু কম্পিউটার বন্ধ করে রাখার কথাও বলেছে। নিজস্ব পেজে একই রকমের বার্তা দিয়েছে ওরাকল।
ওরাকল জানিয়েছে যে ডেটা সেন্টারগুলোর তাপমাত্রা কাজ করার উপযোগী অবস্থার দিকেই যাচ্ছিল। তবে এখনও কোম্পানিটি ডেটা সেন্টারের শীতলীকরণ ব্যবস্থা সারাইয়ের কাজ করছে। বাড়তি তাপমাত্রার কারণে দুই প্রতিষ্ঠানের কতগুলো সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এতে যে সব সেবাগ্রাহক নিজেদের ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য গুগল ক্লাউড এবং ওরাকলের সেবার ওপর নির্ভর করেন, তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে প্রযুক্তিভিত্তিক সাইট ভার্জ জানিয়েছে।
কোম্পানিগুলোর যুক্তরাজ্যের ডেটা সেন্টারগুলো চরম আবহাওয়া মোকাবেলার উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়নি বলে সাইটটি জানিয়েছে। মঙ্গলবারে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে যুক্তরাজ্যে। বাড়তি তাপে কেবল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ডেটা সেন্টারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বিভিন্ন স্থানে রেল লাইন বেঁকে বসেছে অথবা ভেঙ্গে পড়েছে, ফুলে উঠেছিল লন্ডন লুটোন এয়ারপোর্টের রানওয়ের একাংশ। অ-মৌসুমী তাপমাত্রার কারণে ডেটা সেন্টার বন্ধ রাখতে হয়েছিল বলে জানিয়েছে শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
কারিগরি ক্ষয়ক্ষতি রুখতে ওরাকল মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই নিজেদের বেশ কয়েকটি সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে, কোম্পানিটির সেবা ধীর গতিতে হলেও পুনরায় চালু হচ্ছে বলে ইঙ্গিত মেলার খবর জানিয়েছে ভার্জ।