চার্জার ছাড়া আইফোন বিক্রি করায় মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে এক কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে ব্রাজিলের আদালত। আইফোন চার্জার প্রসঙ্গে ব্রাজিলে আবারও সমস্যার মুখে পড়েছে অ্যাপল। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে চার্জার ছাড়া আইফোন পাঠানোর সিদ্ধান্তে অ্যাপল অটল থাকলেও আদালত কারণ দেখাচ্ছে, আগে পণ্যের সঙ্গে চার্জার সরবরাহ করলেও, গ্রাহককে এখন এটি কিনতে বাধ্য করতে চায় কোম্পানিটি।
আদালতের রায় অনুযায়ী, দেশটিতে চার্জারসহ আইফোন পাঠাতে হবে অ্যাপলকে। ব্রাজিলের আদালত বলছে, এটি স্পষ্ট যে, একটি ‘গ্রিন ইনিশিয়েটিভ’ ন্যায্যতার অজুহাতে গ্রাহকের ওপর চার্জার অ্যাডাপ্টার কেনার প্রয়োজনীয়তা চাপিয়ে দিচ্ছে অ্যাপল কোম্পানি, যা এর আগে পণ্যের সঙ্গেই সরবরাহ করা হতো। দেশটিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও চাপের মুখে ভুল স্বীকার করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ান প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাংও নিজেদের গ্যালাক্সি এস২১ প্রি-অর্ডারের সঙ্গে চার্জার ‘উপহার’ দেওয়ার শর্ত মেনে নিয়েছে।
ব্রাজিল বিশ্বের অন্যতম বড় ফোন বাজার। দেশটিতে নিয়ম অমান্য করলে বড় পরিসরে বিক্রি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় গ্যাজেট নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে। অ্যাপল বলেছে, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে তারা। এনগ্যাজেট মন্তব্য করেছে, জরিমানা তুলনামুলকভাবে অল্প এবং অ্যাপলকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে না। এ ছাড়াও ব্রাজিলে আইফোন বিক্রি অব্যাহত রাখতে চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়া অ্যাপলের হাতে তেমন কোনো সুযোগও নেই।
সেপ্টেম্বরে একই কারণে ব্রাজিলে আইফোন বিক্রি থামিয়ে দিয়েছিল দেশটির আদালত। পাশাপাশি, অ্যাপলের ওপর ২৩ লাখ ডলারের জরিমানাও চাপিয়ে দিয়েছিল তারা। তারও আগে ২০২১ সালে আইফোন ১২ এর সঙ্গে চার্জার না দেওয়ায় মার্কিন টেক জায়ান্টকে জরিমানা করেছিল সাও পাওলো। আত্মপক্ষ সমর্থনে সে সময়ও অ্যাপল নিজেদের পরিবেশগত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। আইফোন নির্মাতা উল্লেখ করে, এতে করে কার্বন নিঃসরণ কমবে এবং পৃথিবী থেকে দুর্লভ উপাদান উত্তোলন কমে আসবে।
সে সময় অ্যাপলের অপর যুক্তি ছিল, অনেকের কাছেই অতিরিক্ত চার্জার রয়েছে। সেই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি ভোক্তা সুরক্ষা সংস্থা ‘প্রোকোন-এসপি’। সেবার প্রায় ১৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হয় অ্যাপলকে। তদারকরা অ্যাপলকে দেশটির কনজিউমার ডিফেন্স কোড লঙ্ঘন করার দায়ে অভিযুক্ত করে।