ওয়াচওএস ৯, টিভিওএস ১৬ এবং আইওএস ১৬সহ বেশ কয়েকটি পরবর্তী সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম চালু করেছে অ্যাপল। আর পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমে এসেছে আইওএস ১৫.৭, আইপ্যাডওএস ১৫.৭ এবং ম্যাকওএস মনটেরি ১২.৬ সংস্করণ। ওএস ১৬ অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি কথা হলেও অনেকে এখনও পুরোনো সংস্করণ ব্যবহার করতে চান। এমন পরিস্থিতিতে পুরোনো ডিভাইসের জন্য আইওএস ১৫.৭ সংস্করণ এনেছে অ্যাপল।
ব্যবহারকারীরা যখন আইপ্যাডওএস ১৬.১ ও ম্যাকওএস ভেঞ্চুরার জন্য অপেক্ষা করছেন, তখন আইপ্যাড ও ম্যাকওএস দুটো আপডেটই নতুন সংস্করণের বিভিন্ন নিরাপত্তা-সম্পর্কিত ‘প্যাচ’ যোগ করেছে পুরোনো সংস্করণের এই আপডেটে। প্রযুক্তি সাইট আর্স টেকনিকা বলছে এই তিনটি আপগ্রেডের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আইওএস ১৬। এতে আছে সম্পূর্ণরূপে সাজানো লক স্ক্রিন, নতুন আইমেসেজ এডিটিং, বার্তা মোছার সুবিধা। এর সঙ্গে আরও আছে ‘পাসকি’ নামের একটি নিরাপত্তা ফিচার।
যার ফলে পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন ব্যবহারকারী। ‘আইওএস ১৫’ থেকে ‘আইওএস ১৬’ তে রূপান্তরের বিষয়টিও অনেকটা একই ধরনের হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আর্স টেকনিকা। তবে, দুটো সম্ভাব্য বাধার কারণে এটি বাস্তবায়নে সমস্যা হতে পারে। এর একটি হচ্ছে আইওএস ১৬র নতুন ফিচার ‘র্যাপিড সিকিউরিটি রেসপন্স’, যা পুরো নতুন আইওএস আপডেট না করে কেবল ছোট নিরাপত্তা সমস্যাগুলো সংশোধন করতে দেবে।
আইওএস ১৫ তেই শেষ পর্যন্ত এই আপডেটের সবগুলো আসবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, আইওএস ১৪ থেকে ১৫ তে আপগ্রেড করার সময় যেসব ,মডেলে আইওএস ১৪ চলছিল তার সবগুলোই আপগ্রেডেড হয়েছে, কিন্তু ১৫ থেকে ১৬ সংস্করণে যাওয়ার সময় দুটি পুরোনো সংস্করণকে বাদ রেখেছে অ্যাপল। ওই দুই পুরোনো সংস্করণের বেলায় আপগ্রেডের ধরন কী হবে তা নিয়ে অ্যাপল কিছু বলেনি।
আইওএস ১৫.৭ সংস্করণ আনার দুটি কারণের একটি হচ্ছে আইওএস ১৬ এর নিরাপত্তা আপডেট না পাওয়া পুরনো আইফোন চালু রাখার উপায় বের করা। এর মধ্যে আছে আইফোন ৬এস ও আইফোন ৭ সিরিজের পাশাপাশি মূল আইফোন এসই। আর অন্য কারণ হচ্ছে, আইওএস ১৬ এ আপগ্রেডে অনিচ্ছুক গ্রাহকদের ডিভাইসে নিরাপত্তা ফিচার আপডেট করা। আইওএস ১৫ আনার সময়ও একই কৌশল অবলম্বন করেছিল অ্যাপল।
যেসব ব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহারে দ্বিধায় ছিলেন তাদের জন্য আইওএস ১৪.৮ এনেছিল কোম্পানিটি।