ব্যবহারকারীর আইফোনের ক্লিপবোর্ডে অনেক স্পর্শকাতর ডেটা, পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত ছবি, ‘টু-ফ্যাক্টর পাসকোড’ সহ অনেক কিছুই থাকে। অনেক সময় ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই এই সব তথ্য বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই নতুন এই অপারেটিং আইওএস ১৬ এর সিস্টেমে কপি-পেস্ট সংশ্লিষ্ট সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের এক পণ্য সমালোচক। সম্প্রতি আইওএস এর নতুন ষোড়শ সংস্করণ চালাতে গিয়ে বিরক্ত হচ্ছেন অনেক ব্যবহারকারী।
কারণ একটি অ্যাপ থেকে কোনো কিছু কপি করে অন্য অ্যাপে পেস্ট করতে গেলেই ক্রমাগত ব্যবহারকারীর অনুমোদন চাচ্ছে অপারেটিং সিস্টেমটি। উক্ত সমালোচকের ভাষ্যমতে, এটি অ্যাপলের বিখ্যাত প্রাইভেসি নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম চালানোর আরেকটি উদাহরণ, যেখানে সহজ ইংরেজি ভাষায় ব্যবহারকারীকে ক্রমাগত জিজ্ঞেস করা হয় যে, তিনি অ্যাপটিকে তার তথ্যে প্রবেশাধিকার দেবেন কি না। এটি এখন এমন অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যা আগে কখনও ছিল না।
নতুন এই ব্যবস্থায় বারবার অনুমোদন চাওয়ার এই প্রম্পট কপি-পেস্টের গেটা বিষয়টিকেই করে তুলেছে বিরক্তিকর। সম্ভাব্য সমাধানও এসেছে উক্ত আলোচনায়। শুধুমাত্র ‘অলওয়েজ অ্যালাও’ অপশন যোগ করে দিয়েই ব্যবহারকারীর এই ভোগান্তি কমিয়ে আনতে পারে অ্যাপল। তবে, সেটা অ্যাপল করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ উঠে এসেছে ওই রিভিউয়ে। সমালোচক উক্ত ব্যক্তি জানান আইওএস ১৬.১ এর বেটা সংস্করণেও এটি পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তবে, অ্যাপল দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করবে বলে আশা প্রকাশ করেই লেখার ইতি টেনেছেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে, ব্যবহারকারী যদি কোন ছবির একটি অংশ কেটে সেটি কপি করে কোনো বার্তার টেক্সট অংশে পেস্ট করেন, প্রতিবারই ব্যবহারকারীর অনুমোদন চায় অপারেটিং সিস্টেমটি। নোটস অ্যাপে পেস্ট করার বেলায় একই ঘটনা ঘটছে। অথচ, তার মতে এটি আইফোনের ‘কোর’ অ্যাপ্লিকেশনের একটি সাধারণ বৈশ্বিক রেওয়াজ হওয়া উচিৎ ছিল।
পরবর্তিতে বিরক্ত হয়ে তিনি লিখেছেন, যথেষ্ট হয়েছে! যেখান এইমাত্র একটি জিনিস কপি করা হয়েছে, সেটা কেন করা হয়েছে? পেস্ট করার জন্যই তো! সেখানে বার বার জিজ্ঞাসা করার কী আছে? এই পপ-আপ এত বেশি মাত্রায় হচ্ছে যে অনেক ব্যবহারকারী ধারণা করতে পারেন, এটি হয়তো কোনো ধরনের ‘বাগ’। আর কিছু ক্ষেত্রে বার্তা বা ছবি পেস্ট করলেও কিছু আসে না।