Reading Time: 2 minutes

বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় অনেকেই বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। শুধু যে বাস্তব জীবনেই তা ঘটছে এমনটা নয়, সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও নিপীড়কের সংখ্যা বেড়েছে। নিপীড়নের শিকার যারা তারা বিভিন্নভাবেই নিপীড়িত হতে পারেন। তবে গবেষণা বলছে, নিপীড়নে সামাজিক মাধ্যমের অপব্যাবহার নিয়ে অভিযোগ করলেও অর্ধেকের বেশিই উপেক্ষিত থেকে যায় প্ল্যাটফর্মগুলোয়। যুক্তরাজ্যে গৃহ নিপীড়নে আক্রান্তদের সবচেয়ে বড় আশ্রয় দাতা সংস্থা রেফিউজ এ বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছে।

সংস্থাটির গবেষণায় উঠে এসেছে, বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফর্মে নিপীড়ন ও হয়রানীর শিকার ভুক্তভোগীদের ৫৩ শতাংশই অভিযোগ তোলার পর ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনো সাড়া পাননি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপক হারে বেড়েছে এই প্রযুক্তির অপব্যবহার। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দুইশ ৫৮ শতাংশ বেশী নারীকে সহায়তা দিয়েছে রেফিউজের কর্মীরা। প্রতি পাঁচজনের দুইজন ভুক্তভোগী বলেছেন, অভিযোগের কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা এরপর আর অপব্যবহার সম্পর্কে প্ল্যাটফর্মকে জানাননি।

বর্তমান বা প্রাক্তন সঙ্গী দ্বারা কোনো নারীর অবস্থান ট্র্যাক করতে স্মার্টফোন, সন্তানের আইপ্যাড ও কনসোল ব্যবহার, ইন্টারনেটে ‘রিভেঞ্জ পর্ন’ নামে পরিচিত ভিডিও শেয়ার, ক্রমাগত ফোন কল, বার্তা ও সামাজিক মাধ্যমে হয়রানিকে প্রযুক্তির অপব্যবহার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে রেফিউজ। এর আগে সংস্থাটির সতর্কবার্তায় উল্লেখ ছিল, সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তির অপব্যবহারের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এর মধ্যে ভুক্তভোগীর ওপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণে স্মার্ট লক, ওয়েব ক্যাম ও স্মার্ট হিটিং সিস্টেম কাজে লাগাচ্ছে অপব্যবহারকারী।

প্রযুক্তির অপব্যবহারের শিকার ১৭ জন ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি গৃহ নিপীড়ন থেকে উদ্ধার পাওয়া ৮৯ জন ভুক্তভোগীর ওপর অনলাইনে একটি আলাদা সমীক্ষা চালিয়েছেন রেফিউজের গবেষকরা। এর আগে রেফিউজের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রতি তিন জনের একজন সর্বমোট এক কোটি দশ লাখ নারী সামাজিক মাধ্যম বা অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিপীড়ন বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। রেফিউজের জনসংযোগ প্রধান জেস ইগেলটন বলেন, অনলাইন মাধ্যম অপব্যবহারের প্রশ্ন উঠলেও সামাজিক কোম্পানিগুলো দীর্ঘ দিন ধরে এ নিয়ে করণীয় বিষয়াদি নিজেদের আওতায় রাখছে।

ফলে, এটি ভুক্তভোগীদের ঠেলে দিয়েছে ভয়ানক পরিণতির দিকে। অনেক নারীই তাদের কাছে পাঠানো বা তাদের সম্পর্কে বানানো আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ে অভিযোগ তোলার পরও কোনো ফল পাননি। নিপীড়নের ভুক্তভোগী একজন জানান, সামাজিক মাধ্যমে প্রাক্তন সঙ্গীর হুমকি, ধাওয়া ও হয়রানি তাকে জীবন নাশের ভয় দেখিয়েছে। তার ঠিকানা ফাঁস করে দেওয়া ও প্রতিদিন ক্ষতির হুমকি দেওয়ায় তিনি ওই বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। 

ফেসবুকের সঙ্গে ছয়বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আমি কোনো সাড়া পাননি। তার জীবন ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ফেসবুক যখন স্বীকার করেছে, পোস্টগুলো তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করেছে, তখনও সেগুলো সরাতে চার মাস সময় নিয়েছে তারা – যেটি তার জন্য খুবই হতাশাজনক ছিল।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.