Reading Time: 2 minutes

টেসলার নির্মাতা ইলন মাস্ক তার বিটকয়েনের তিন চতুর্থাংশই ছেড়ে দিয়েছে। ২০২১ সালের শেষের দিকে টেসলা মালিকানায় দুইশ’ কোটি ডলারের বিটকয়েন ছিল। গত বছরই বেশ বড় গলায় বিটকয়েনে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগের কথা বলে ক্রিপ্টো মুদ্রা বাজারে বিশাল ঢেউ তুলেছিল বর্তমান সময়ে বেশ আলোচিত এবং সমালোচিত এই ইলন মাস্ক। এক বছর পর দেখা যাচ্ছে সে সময়ে কেনা বিটকয়েনের বেশিরভাগই তার কোম্পানি বিক্রি করে দিয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিটকয়েনের মূল্য পতনের ফলেই টেসলা এই ক্রিপ্টো মুদ্রার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে বলে উঠে এসেছে। এ বছরই বিটকয়েনের মূল্য অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। বিটকয়েন বিক্রি থেকে পাওয়া ৯৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রচলিত মুদ্রায় রূপান্তরের কথা বলেছে টেসলা। যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজেদের ক্রিপ্টো মুদ্রার সমর্থক হিসেবে প্রচার করেছেন ইলন মাস্ক তাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তি। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে তার ঘোষণা বাজারে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।

‎গত বছরই টেসলা গাড়ির মূল্য বাবদ বিটকয়েন গ্রহণ বন্ধ করে দেয়। সে সময় কোম্পানিটি বিটকয়েন মাইনিংয়ে বিদ্যুতের উচ্চ ব্যবহারকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে। ইলন মাস্ক সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন যে তার‎ কোম্পানি মালিকানাধীন বিটকয়েন বিক্রি করবে না। নিয়মিত ত্রৈমাসিক ঘোষণার অংশ হিসেবে টেসলার আয় ও ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করার ফলে বিটকয়েন বিক্রির বিষয়টি সামনে এসেছে। টেসলার তাদের লাভে বড় আঘাতকে বিটকয়েন বিক্রির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখিয়েছে।

এছাড়াও গত বছরে কথিত গিগাফ্যাক্টরিগুলো চালু হওয়ার পর থেকেই উৎপাদন বাড়াতে টেসলা নানা বাধার মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। মাস্ক জানায় বার্লিন আর অস্টিনের কারখানা দুটি এখন টাকা পোড়ানোর দানবীয় চুল্লিতে পরিণত হয়েছে।  ব্যাটারি ঘাটতি আর চীনের সরবরাহ জটিলতার কারণে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত টেসলার নতুন উৎপাদন কারখানা দুটি কয়েক বিলিয়ন ডলার লোকসানের মুখে পড়েছে বলে ইলন মাস্ক জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন (কেন?)

চীনের সাংহাইয়ের কারখানা নিয়েও বিপাকে আছে টেসলা। বিবিসি জানিয়েছে, চীনের বন্দরে ব্যাটারির যন্ত্রাংশ আটকে থাকায় অস্টিনে অবস্থিত টেসলার কারখানাটি এখন খুবই অল্প সংখ্যক গাড়ি উৎপাদন করছে বলে জানিয়েছে মাস্ক। যন্ত্রাংশ বন্দরে থাকলেও সেটি পরিবহনের বন্দরগুলোতে লোকবল নেই। শীর্ষ বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি লকডাউনে উৎপাদন কাজ চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। সম্প্রতি সে প্রতিষ্ঠানে কর্মী ছাটাইয়ের কথাও বলেছে।

তবে, মাস্ক আরও বলেছে যে এই সমস্যাগুলো খুব দ্রুত সমাধান হবে। কিন্তু এতে অনেক বেশি মনোযোগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। মাস্ক এটিও বলে যে সাংহাইয়ের লকডাউন টেসলার জন্য খুবই কঠিন ছিল। ‎এ বছর টেসলার শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।‎ টেসলা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‎বিটকয়েনে তাদের দেড়শ কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা প্রকাশ করে। এর পরপরই বাজারে বিটকয়েনের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় এবং প্রতিটি বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ৭০ হাজার ডলারে পৌঁছায়।

এর পরপরই ধস নামে এই ক্রিপ্টোমুদ্রায়। ‎একটি বিটকয়েন এখন ২৫ হাজার ডলারেরও কম দামে লেনদেন হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.