Reading Time: < 1 minutes

এনজিও সাইট আভাজ বলেছে, তারা ২০২২ সালের এক মার্কিন ভ্যাক্সিন বিরোধী সিনেমা ভিত্তিক একশ আটটি কনটেন্টের নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখেছে, মেটা ও ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফর্ম অপপ্রচার সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট বন্ধের প্রচেষ্টায় যথেষ্ট কাজ করেনি। টুইটার, গুগলের ইউটিউব, মেটা মালিকানাধীন ফেসবুক, মাইক্রোসফটের লিংকডইন ও টিকটক নিজেদের প্ল্যাটফর্মে গুজব বা জাল খবর ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে, তাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অনলাইন কনটেন্ট নীতিমালা মেনে চলার সক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ বাড়ছে।

গত নভেম্বরে কার্যকর হওয়া ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট বা ডিএসএ নামে পরিচিত অনলাইন কনটেন্ট নীতিমালার সঙ্গে আপডেট করা ইইউ কোড অফ প্র্যাকটিস মেনে চলার বিষয়ে এই সপ্তাহে রিপোর্ট উপস্থাপন করবে বিভিন্ন কোম্পানি। মঙ্গলবার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে আভাজ। আভাজ বলেছে, সামগ্রিকভাবে ছয়টি শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম আমাদের বিশ্লেষণ করা ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট কনটেন্টের কেবল ২২ শতাংশ লেবেল করেছে বা সরিয়েছে। সংগঠনটি আরও বলছে, ইংরেজী ভাষা বাদে ভুল তথ্য থাকা অন্যান্য কনটেন্ট সরানোর বেলায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখেনি কোম্পানিগুলো।

গত বছর, ইইউর আপডেট করা কোডের ভিত্তিতে ভুল তথ্য সরানোর ক্ষেত্রে তুলনামূলক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মেটা, অ্যালফাবেট, টুইটার ও মাইক্রোসফট। ডিএসএ এর নীতিমালা লঙ্ঘন করলে কোম্পানিগুলো নিজেদের বৈশ্বিক আয়ের ছয় শতাংশ পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে পারে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। আভাজ বলে, ইইউর আওতাধীন সকল ভাষার জন্য কোডের মধ্যে প্ল্যাটফর্মগুলোর নিজস্ব পরিষেবা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ইতালীয়, জার্মান, হাঙ্গেরিয়ান, ডেনিশ, স্প্যানিশ ও এস্তোনিয়ানের মতো কিছু সংখ্যক ভাষার বেলায় ইইউর বিভিন্ন নীতিমালা লঙ্ঘনকারী পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কোনও প্ল্যাটফর্মই।

আরো জানিয়েছে যে এই গবেষণা থেকে ইঙ্গিত মেলে, শীর্ষস্থানীয় বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্মই নিজেদের কোড অফ প্র্যাক্টিস সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। আসন্ন ডিএসএ আইনের বেলাতেও এমনটি ঘটতে পারে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.