Reading Time: 2 minutes

বেসিস (সফটওয়্যার নির্মাতাদের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস) ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে প্রস্তাবের “আশানুরূপ প্রতিফলন ঘটেনি” বলে মত প্রকাশ করেছে দেশে। বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান বলেন এই অর্থ কোন কোন প্রকল্প বা খাতে ব্যয় হবে এবং তার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প এবং এই খাতের ব্যবসায়ীরা কীভাবে উপকৃত হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা বা ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে আমরা কর অব্যহতির সময়সীমা ২০২৪ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আনার প্রস্তাব করা হয়েছিল, এই বিষয়টি বাজেটে গুরুত্ব পায়নি। বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য কর কমোনোর প্রস্তাব দিয়েছেন। বাজেট বক্তব্যে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের জন্য কেবল আয়কর রিটার্ন দাখিল ব্যতীত অন্যান্য সকল প্রকার রিপোর্টিং এর বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি এবং স্টার্ট-আপ কোম্পানির লোকসান “নয় বছর পর্যন্ত সমন্বয় এর বিধান” প্রস্তাব করেন।

এ ছাড়াও তিনি ২০২৫ সালে আইসিটি খাতের রপ্তানি পাঁচ শত কোটি মার্কিন ডলারে নেওয়ার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। সেই সাথে অপটিক্যাল ফাইবারের উপর ৫ শতাং শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেন। জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ এর অর্থবছরের জন্য সংগঠনটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার উপস্থাপিত বাজেটে বিগত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য বরাদ্দ প্রায় ২৭৪ কোটি টাকা বাড়লেও বেসিস এর বিষয়ে “সুস্পষ্ট কোনো ধারণা বা ইঙ্গিত” না থাকার কথা উল্লেখ করেছে।

শনিবার সংগঠনটির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাশাপাশি বাজেটে সংগঠনটির দেওয়া প্রস্তাবনার কোনো প্রতিফলন না মেলার বিষয়ও উঠে এসেছে। বেসিস পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন যে সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সাইবার সিকিউরিটি সফটওয়্যার পণ্যের উপর উচ্চ শুল্কহার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। সাইবার সিকিউরিটি সফটওয়্যারের জন্য নতুন করে এইচএস কোড নির্ধারণ করে শুল্ক হার নির্ধারণ করার বিষয়ে যা তিনি বলেছেন, তা এবারের বাজেট বক্তৃতায় প্রতিফলিত হতে দেখেননি।

টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (টিএ) প্রকল্প গ্রহণের জন্য ৫০০ কোটি টাকা তহবিল তৈরি ও আইটিইএস এর সংজ্ঞায় প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ এ সার্ভিস (প্যাস) ই-সার্ভিসেস এবং সফটওয়্যার অ্যাজ এ সার্ভিস (স্যাস)-কে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের উল্লেখ করে বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ বলেন একইসঙ্গে, অনলাইনে লেনদেন উৎসাহিত করতে ক্রেতা এবং মার্চেন্ট উভয়কে যথাক্রমে তিন এবং দুই শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেওয়ার ও প্রস্তাব করা হয়েছিল। এছাড়াও একই সাথে দেশের সকল মন্ত্রণালয় ও অধিভুক্ত সংস্থাগুলোর উন্নয়ন বাজেটের অন্তত ১০ শতাংশ সফটওয়্যার এবং আইটিইএস ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ করার বিষয়টি বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন বেসিস নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সহ-সভাপতি আবু দাউদ খান বলেন সরকার যদিও তথ্য প্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, ২০২২ সালকে তথ্যপ্রযুক্তি বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে, কিন্তু তার সাথে সঙ্গতি রেখে বাজেটে যেন বেসরকারি খাতের অংশীদারীত্ব বাড়ে, সে বিষয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা এখানে চোখে পড়েনি। স্থানীয় সফট্ওয়্যার ও প্রযুক্তি নির্ভর সেবার উপর ব্যবসায় উৎস পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের প্রস্তাবও বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি বলে বক্তারা উল্লেখ করেছেন।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.