Reading Time: < 1 minutes

সম্প্রতি জানা গেছে যে আগামী ১২ ডিসেম্বর দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে’ পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ এরিয়াগুলোতে এই নেটওয়ার্ক চালু করবে। পরীক্ষামূলকভাবে টেলিটক মোবাইল ফোন অপারেটরে ১৫১২ এমবিপিএস গতিতে তথ্য স্থানান্তরের (ডেটা ট্রান্সফারের) সুবিধা পাওয়া গেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান যে তারা প্রাথমিকভাবে কয়েকটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ৫জি চালু করার পরিকল্পনা করেছে।

যদিও ১২ ডিসেম্বর থেকে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হলেও সবাই এই সেবা ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধুমাত্র কয়েকটি বিশেষ স্থাপনায় এই নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। আপাতত গণভবন, বঙ্গভবন, সংসদ ভবন, সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর স্থাপনাগুলোর মধ্যে ৫জি নেটওয়ার্ক আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়াও আরও দুটি স্থাপনায় ৫জি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও এবিষয়ে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে স্থাপনা দুটির মধ্যে টুঙ্গিপাড়া ও রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাতেও ৫জি নেটওয়ার্ক সুবিধা আনার ধারনা করা যাচ্ছে।

মন্ত্রী বক্তব্যে আরো বলেছেন যে ৫জি সুবিধা দেশের সর্বত্র পৌছে দেয়ার জন্য ৫জি নেটওয়ার্ক ফোন চালু করা হবে। দেশে যে ১৪টি মোবাইল তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানকার উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন যে ৫জি ফোন চালু করার সক্ষমতা তাদের রয়েছে। এখন ৫জি নেটওয়ার্ক সর্বত্র পৌছে ৫জি মোবাইল ফোন চালু হওয়া এখন সময়ের দাবী। যদিও বর্তমানে কিছু নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করা হবে তবে আগামী বছরের দিকে প্রায় ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ সাইটে ৫জি নেটওয়ার্ক সুবিধা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও আগামী বছরের অন্যান্য মোবাইল ফোন অপারেটরও ৫জি নেটওয়ার্ক সুবিধা পাওয়া যাবে।

টেলিটক ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করার তরঙ্গ অনুমোদন পেয়েছে। আগামী বছরের মার্চ মাসে ৫জি এর জন্য তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.