গত বছরের ৬ জুন সারাদেশে এক রেটে ইন্টারনেট সেবা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সেবার মূল্য নির্ধারিত না থাকায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। অবশেষে সেই বাধাও কেটে যায়। এ দুটি সেবার জন্য ওই বছরের আগস্টে নতুন ট্যারিফ ঘোষণা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তবে সেই ঘোষণা অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবায় ‘এক দেশ এক রেট’ বাস্তবায়ন না করায় ৬৫ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বা আইএসপিকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি। বিটিআরসির ২৬৭তম কমিশন সভায় এসব আইএসপিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর সোমবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি চিঠি পাঠানো হয়।
পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানার অর্থ জমা না দিলে লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে করে জানানো হয়, বিটিআরসি আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টি স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের দাম ও এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দিয়েছে। তিনটি স্ল্যাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সেগুলো হলো, ৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকা। এ নতুন মূল্য গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কার্যকর করার কথা। কিন্তু তা অনেকেই মানছেন না। এ জন্য এ জরিমানা। এছাড়া আরও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন বিটিআরসির কর্মকর্তারা।