সম্প্রতি ডেটিং অ্যাপ নির্মাতা ম্যাচ গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গুগলে প্লে স্টোরের অ্যাপগুলোতে ক্রেতা বা সেবাগ্রাহকদের খরচ কর অর্থ থেকে অ্যাপ নির্মাতার যে আয় হয়, গুগল তার ৩০ শতাংশ কেটে রাখে। আর এই কমিশনের ব্যাপক হার নিয়েই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরোধীতার সূত্রপাত ঘটে। ফলে টিন্ডারের এই মূল কোম্পানি অ্যাপ থেকে আসা আয়ের ভাগাভাগি নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানের জেরে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে প্লে স্টোর থেকে গুগল উচ্চহারে কমিশন কেটে রেখে প্রতিযোগিতাবিমুখ আচরণ করছে বলে অভিযোগ তুলে এপিক গেমস মামলা করেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে যে ম্যাচ গ্রুপ ফোর্টনাইট নির্মাতা এপিক গেমসের পথেই হাঁটছে। তারা ম্যাচ গ্রুপের দাবির শেষ অবলম্বন হিসেবে এই মামলার পদক্ষেপ নিয়েছে। ম্যাচ গ্রুপের সাম্প্রতিক মামলা প্রসঙ্গে গুগলের মত প্রতিষ্ঠানটি বিপুল পরিমাণ আয়ের ভাগ দেওয়া এড়াতে চাইছে। আর মামলায় এপিককে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের প্রধান আইন কর্মকর্তারা সমর্থন দিচ্ছেন। গুগল বলছে যে অন্য যে কোনো ব্যবসার মতোই তারা তাদের সেবাগুলো পাল্টাতে থাকে, এবং অন্য যে কোনো দায়িত্বশীল প্ল্যাটফর্ম এর মতো তারা তাদের ব্যবহারকারীদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।
ম্যাচ দাবি করছে যে তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ টিন্ডারের বেশিরভাগ ব্যবহারকারী অ্যাপটির লেনদেন ব্যবস্থাকেই বেশি পছন্দ করেন। অ্যাপটি ইনস্টলমেন্টে পাওয়া পরিশোধ, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং আরও নানা সুবিধা দেয়। কিন্তু গুগল এই সুবিধাগুলো দেয় না বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। ম্যাচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী শার ডুবে জানান যে প্লেস্টোরকে ছেড়ে এগিয়ে যাওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। রয়টার্স জানিয়েছে যে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে ম্যাচ গ্রুপ গুগলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, গুগল ফৌজদারি এবং স্থানীয় আইন লঙ্ঘন করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
যদিও গুগল ম্যাচের তৈরি বেশ কয়েকটি অ্যাপকে প্রায় এক দশক ধরে নীতিমালা থেকে বাড়তি ছাড় দিয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান গুগল সম্প্রতি জানিয়েছে যে ওই অ্যাপগুলো গুগলের নিজস্ব লেনদেন ব্যবস্থায় না এলে এবং আয়ের ভাগ না দিলে ১ জুলাই থেকে অ্যাপগুলোকে আর সমর্থন দেবে না। এই পরিস্থিতি নিয়ে শার ডুবে বলেন যে মামলাটি তাদের শেষ অবলম্বন। তারা শঙ্কাগুলো গুগলের সঙ্গে আলোচনা করে নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের চাপ আর হুমকি ম্যাচ গ্রুপের জন্য আর কোনো পথ খোলা রাখেনি।