Reading Time: 2 minutes

সামনের মাসগুলোয় টুইটারে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। টুইটারের মালিকানা মাস্ক কিংবা বর্তমান কর্তৃপক্ষ যার হাতেই থাকুক না কেন, প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মী ছাঁটাই হবে।

অক্টোবরে মাসের শেষে ৪ হাজার ৪০০ কোটি অর্থাৎ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পন্ন করে টুইটার কিনে ফেলতে হবে ইলন মাস্ককে। আমেরিকার হাইকোর্ট টুইটার কেনার জন্য মাস্ককে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ অবস্থায় নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে টুইটারের কর্মীদের মধ্যে। কারণ বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক আগেই টুইটারের প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই টুইটারের কর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হচ্ছে, এ অবস্থায় টুইটারের পক্ষ থেকে কর্মীদের কর্মসংস্থান ও ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে আশ্বস্ত করার চেষ্টা চলছে।

টুইটারের মালিকানা মাস্কের কাছে হস্তান্তর করার পর কর্মীরা আগের মতো কাজ করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে টানাপড়েন। বেশ কয়েক মাস ধরেই টুইটারের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কর্মী এক ধরনের অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন।

ওয়াশিংটন পোস্টের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে বলা হয়, সামনের মাসগুলোয় টুইটারে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। টুইটারের মালিকানা মাস্ক কিংবা বর্তমান কর্তৃপক্ষ যার হাতেই থাকুক না কেন, প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মী ছাঁটাই হবে।

বার্তাসংস্থা ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুইটারের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আগামী বছরের শেষ নাগাদ কোম্পানির কর্মীদের বেতন বাবদ বরাদ্দ থেকে ৮০ কোটি ডলার কাটছাঁটের পরিকল্পনা করেছে। এর মানে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ কর্মশক্তিকে বিদায় নিতে হবে।

তাই টুইটারের মালিকানা যার হাতেই থাকুক না কেন, আগামী কয়েক মাসেই কর্মী ছাঁটাই করা হতে পারে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ পরামর্শদাতা শিন এজেট জানিয়েছেন, এখনই গণহারে কর্মী ছাঁটাই করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে ওয়াশিংটন পোস্টে জানানো হয়েছে, পরিকাঠামো খাতে খরচ কমানোর জন্য কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা মাস্কের টুইটার কেনার প্রস্তাব দেয়ার অনেক আগেই করা হয়েছিল।

এদিকে বেতন সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা টুইটারের সাধারণ কর্মী ও নির্বাহীদের মধ্যে খানিকটা মন-কষাকষির সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মী। কারণ মাস্ক যদি টুইটারের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের চাকরিচ্যুত করেন তাহলে নিয়ম অনুযায়ী তারা মোটা অংকের অর্থপ্রাপ্ত হবেন। যেমন মাস্ক যদি টুইটারের প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়ালকে ছাঁটাই করেন তাহলে তিনি ৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাবেন। এছাড়া অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের নির্বাহীরা পাবেন ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।

বিজ্ঞাপন (কেন?)

এদিকে সাধারণ কর্মীরা আশা করছেন যে তাদের অন্তত নভেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখা হবে। কেননা নগদ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য এ সময়টা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তবে টুইটার তার কর্মীদের আশ্বস্ত করার জন্য যা-ই করুক না কেন তা যথেষ্ট নাও হতে পারে। কারণ কোম্পানির সঙ্গে মাস্কের চুক্তি সম্পূর্ণ হলে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার পছন্দের প্রায় সবকিছু করতে পারেন। তাছাড়া মাস্ক টুইটারকে আরো বাকস্বাধীন করতে চান। তিনি আমেরিকান সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনার কথা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাছাড়া তিনি প্রকাশ্যে টুইটারের নির্বাহীদের সমালোচনাও করেছেন।

মে মাসে টুইটার কেনার চুক্তি থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছিলেন ইলোন মাস্ক। তার অভিযোগ ছিল টুইটারের বট ও স্পাম অ্যাকাউন্টের সংখ্যা সম্পর্কিত সঠিক তথ্য দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে মামলা করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে মাস্ক আবার সিদ্ধান্ত বদল করে বলেন, মূল শর্তগুলো মেনেই তিনি চুক্তিটি এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.