ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল টেসলার বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ার ডিএফইএইচ (ডিপার্টেমেন্ট অফ ফেয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড হাউজিং) বুধবার মামলা করেছে বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উক্ত সরকারী সংস্থা টেসলার বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে মামলা করেছে। সংস্থাটির অভিযোগ টেসলা তাদের কর্মস্থলে বর্ণ বিদ্বেষী আচরণ করে। ডিএফইএইচ পরিচালক কেভিন কিশ এক বিবৃতিকে জানান যে কর্মীদের কাছ থেকে কয়েকশ অভিযোগ পাওয়ার পর ডিএফইএইচ-এর তদন্তে টেসলার ফ্রের্মন্ট কারখানায় বর্ণ বিদ্বেষমূলক কর্মকান্ডের অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীরা বর্ণবিদ্বেষী অবমাননাকর আচরণ এবং কাজের ধরন, শৃঙ্খলা, বেতন এবং পদোনতির বেলায় বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন যার ফলে একটি আক্রমণমুখী কর্মপরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীরা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে বর্ণবিদ্বেষী ভাষা ব্যবহার করেন বলেও জানিয়েছেন। এ ছাড়াও ডিএফইএইচ টেসলার উচ্চপদগুলোতে কৃষ্ণাঙ্গদের অনুপস্থিতিও লক্ষ্যণীয় বলে জানিয়েছে। টেসলার ২০২০ সালের প্রতিবেদন বলছে যে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীর মধ্যে ১০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ হলেও উচ্চপদে এই হার মাত্র চার শতাংশ।
তবে টেসলা এই অভিযোগ মানতে চাচ্ছেন না। এক ব্লগ পোস্টে নিজেদের ক্যালিফোর্নিয়ার সর্বশেষ অটোমোবাইল নির্মাতা আখ্যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দাবি করে যে ডিএফইএইচ আগের তদন্তগুলোয় অসদাচরণের কোনো প্রমাণ পায়নি। উৎপাদনমুখী শিল্পগুলো যখন ক্যালিফোর্নিয়া ছাড়ছে তখন ডিএফইএইচ টেসলার সঙ্গে গঠনমূলক কাজের বদলে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও টেসলার একই কারখানায় বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গেল বছরের অক্টোবর মাসে উক্ত মামলার রায়ে বিচারক এক কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীকে এক লাখ ৩৭ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণের রায় দেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী টেসলার বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগের মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের শারীরিকভাবে কঠিন কাজগুলো দেওয়া হয়। শৃঙ্খলার প্রশ্নে শ্বেতাঙ্গ কর্মীদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়, এছাড়াও পদোন্নতির বেলায় শ্বেতাঙ্গ কর্মীরাই গুরুত্ব পান।