Photo by Tezos on Unsplash
Reading Time: 2 minutes

এনএফটি সম্পর্কে সবারই কম বেশি জানা আছে। সহজ ভাষায়, এনএফটি হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল সম্পদ যা ছবি, ভিডিও বা টেক্সট-এর মতো ডিজিটাল ফাইলের মালিকানা জমা রাখে। আর এনএফটি যে কেউ বানাতে পারবেন এবং টোকেনের মালিকানা হাত বদল হলেও মূল বস্তুটির মালিকানার তথ্য তার সাথে কোন পরিবর্তন হয় না। বিশ্বব্যাপী ২০২১ সালে প্রায় আড়াই হাজার কোটি ডলারের এনএফটি লেনদেন হয়েছে। কিন্তু এই খাতের লেনদেনের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে হয়তো ভুয়া এনএফটি নিয়ে নয়তো মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে প্রতারকরা মুনাফা অর্জন করছে।

ব্লকচেইন ও এনএফটি প্রযুক্তি যতো বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে ততোই অনলাইনে এই প্রযুক্তি নিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণা বাড়ছে। এনএফটি নিয়ে অনলাইনে প্রতারণা আর জালিয়াতি এতটাই বেড়েছে যে মার্কিন প্রতিষ্ঠান সেন্ট এনএফটির কেনাবেচা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টুইটার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসির প্রথম টুইটের এনএফটি ২৯ লাখ ডলারে বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনায় এসেছিল। সেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা ক্যামেরন হেজাজি উদীয়মান ডিজিটাল সম্পদ বাজারটির জন্য এটি একটি মৌলিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সেন্ট বলছে যে মানুষ এমন সবটোকেন বিক্রি করছে যা প্রতিষ্ঠানটির পণ্য নয়। এমনকি বিক্রেতারা এনএফটি’র দাম বাড়াতে নিজের পণ্য নিজের কাছে বারবার ভিন্ন নামে বেচাকেনা করে দাম বাড়াচ্ছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে। প্রযুক্তি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেন্ট প্রতিষ্ঠানটি মিলিয়ন ডলার দামে কোনো এনএফটি বিক্রি করে খবরের শিরোনাম হয়েছিল। কিন্তু সেন্ট প্রতিষ্ঠাতা হেজাজি ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি এনএফটি লেনদেন স্থগিত রেখেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন যে এমন কিছু কর্মকাণ্ড হচ্ছে যা আসলে বৈধভাবে এটি হওয়া উচিত নয়।

বর্তমান এনএফটি বাজারের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওপেনসি বলছে যে তাদের প্ল্যাটফর্মে বিনা খরচে প্রস্তুতকৃত ৮০ শতাংশ এনএফটি নকল করে বানানো অথবা এটি এক ধরনের স্প্যাম। এনএফটি লেনদেন বন্ধের প্রসঙ্গে হেজাজি মূলত তিনটি সমস্যার কথা বলেছেন। প্রথম হচ্ছে এনএফটির অনুনোমোদিত কপি মানুষ বিক্রি করছে। দ্বিতীয়ত, মানুষ এমন সব জিনিসের এনএফটি বানাচ্ছেন যার মালিকানা আসলে তার নয় এবং তৃতীয়ত, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দলিলের এনএফটি বানিয়ে প্রতারকরা বিক্রি করছে। হেজাজি এই সমস্যাগুলো ক্রমশ বড় আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন যে তারা যতোবারই কোনো অ্যাকাউন্ট ব্যান করেন তারপরই নতুন আরেকটি তৈরি হয়ে যায়, অথবা একসাথে একের বেশি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মী জানিয়েছেন যে নকল করে বানানো এনএফটি বিক্রি তাদের নীতিমালার বাইরে। তবে তিনি নিজস্ব এনএফটি বাজার আবার চালু করতে একটি অস্থায়ী কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন। হেজাজি বলছেন যে তার প্রতিষ্ঠানটি কনটেন্ট নির্মাতাদের পক্ষে কাজ করতে চায়। রয়টার্স বলছে যে সেন্ট এনএফটি বেচাকেনার বাজারের সাইটটি বন্ধ রাখলেও প্রতিষ্ঠানটির ভ্যালুয়েবলস সেবা এখনো চালু রয়েছে। এই সেবাটির মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানটি টুইটের এনএফটি বিক্রি করে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.