গত বছর থেকেই মাইক্রোসফট ‘ইমোশন রিকগনিশন’ বা ছবি থেকে অনুভূতি নির্ধারণ প্রযুক্তির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পর্যালোচনা করে দেখছে। রয়টার্স জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের ‘ইমোশন রিকগনিশন’ প্রযুক্তির বিদ্যমান ক্রেতারা আরও এক বছর কোম্পানিটির এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) টুল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এ প্রযুক্তি নিয়ে দাবি ছিল উক্ত প্রযুক্তি ছবি বিশ্লেষণ করে মানুষের অনুভূতি, লিঙ্গ, বয়স, হাসি, চুল এমনকি মেকআপ নিয়েও নানা তথ্য দিয়ে পারে। তবে মুখের ছবি বিশ্লেষণ করে অনুভূতি নির্ধারণ করে এমন প্রযুক্তির বিক্রি মাইক্রোসফট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
এমনকি উইন্ডোজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ফেশল রিকগনিশন প্রযুক্তি সবার অবাধ ব্যবহারের সুযোগও বন্ধ করে দিচ্ছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায় যে নতুন আইন করে স্পর্শকাতর প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনয়ন। মাইক্রোসফটের নতুন এই সিদ্ধান্তে আইনপ্রণেতা ও নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত আসার আগেই প্রথমসারির ক্লাউড সেবাদাতা প্ল্যাটফর্মগুলোর নিজ উদ্যোগে স্পর্শকাতর প্রযুক্তির লাগাম টানার চেষ্টাই প্রতিফলিত হচ্ছে। মাইক্রোসফটের প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজের ‘ফেইস স্ক্যান’-এর করে পাসওয়ার্ড ছাড়াই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার মতো প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে পারবেন ব্যবহারকারী।
পাশাপাশি কোম্পানিটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন হতে পারে, বিদ্যমান ক্রেতাদের এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। মাইক্রোসফট বলছে, তাদের ফেশল রিকগনিশন সেবাগুলো ব্যবহারের জন্য আগ্রহী গ্রাহকদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এদিকে বর্তমান দৃশ্যপটের ব্যাখ্যা দিয়ে মাইক্রোসফটের অ্যাজিউর এআই বিভাগের প্রধান পণ্য ব্যবস্থাপক সারাহ বার্ড ইমোশন রিকগনিশন সম্পর্কে এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, “ব্যবহারের ধরণ, অঞ্চল এবং বয়সভেদে ‘অনুভূতি’র সংজ্ঞা নিয়ে মতানৈক্য এবং মুখের অভিব্যক্তি ও অনুভূতির মধ্যে যোগসূত্র প্রতিষ্ঠায় অপারগতার ফলে নিয়ে গোপনীয়তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উঠেছে এই প্রচেষ্টা নিয়ে।”