ক্রিপ্টো মার্কেট এর উথ্থান এর জন্যে যেমনটা জনপ্রিয় হয়েছিলেন মাস্ক, তেমনি পতনের জন্যে ঘৃনীতও হয়েছেন তিনি। বলা হয়ে থাকে তার অটিজমের দরুন এবং মনযোগ টানার জন্যে নিজের টুইটার একাউন্টকে সার্কাস বানিয়ে রেখেছেন তিনি। বিগত সময়ে ১.৫ বিলিয়ন বিটকয়েন কিনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন ইলন মাস্ক, কিন্তু হুট করে ঘোষনা দিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি আর বিটকয়েন নিয়ে খেলছেন না। যদিও তার কেনা বিটকয়েনগুলি তার কাছে এখনো আছে, কিন্তু লাখো ব্যবসায়ীর স্বপ্ন ভঙ্গের কারনে তার প্রতি ঘৃনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এরই মধ্যে কিছুদিন আগে এনোনিমাস গ্রুপের দ্বারা হুমকি পেয়ে বসেন ইলন মাস্ক। ইউটিউবে এনোনিমাসের ভেরিফাইড চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে এনোনিমাস। আর সেখানে ইলনের যত দুষ্কর্ম তুলে ধরেন। এনোনিমাস এর বক্তব্য অনুযায়ী ইলন মাস্ক একজন নার্সিসিস্ট (অহংকারী), দায়ীত্বহীন এবং ভুয়া বলে উল্লেখ্য করে। বলা হয় ইলন মাস্কের ব্যাটারি কারখানার জন্যে হাজারো শিশু মাইনিং বা খননকাজে নিয়োজিত হয় এবং লিথিয়াম খনিগুলিতে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে এবং তার জন্যে ইলন মাস্ক দায়ী।
এনোনিমাস ইলন মাস্ককে ইচ্ছাকৃতভাবে মার্কেট ম্যানিপুলেশনের জন্যে দায়ী করে এবং তার কৃতকর্মের জন্যে তাকে হুমকি প্রদান করে। ইলন মাস্ক নিজেকে মঙ্গলের শাসক বলে অভিহিত করায় তার সমালোচনা করে এনোনিমাস। যদিও ইলন এই ব্যাপারে কিছু বলেনি, তবুও বলা যায় ইলন নিজের মতই এই সমস্ত কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে। এনোনিমাসের আগের মত ক্ষমতা বা দাপট এখন আর নেই। তাদের ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাইড হওয়ার ফলে অনেকে তাদের সমালোচনাও করেছেন।