সম্প্রতি ইন্টারনেটভিত্তিক শীর্ষ মাধ্যম পেপাল নিজস্ব ক্রিপ্টোকয়েন প্রচলনের সম্ভব্যতা যাচাই করে দেখছে। যদিও পেপাল আগে থেকেই একাধিক ক্রিপ্টোকয়েন লেনদেন এবং জমা রাখার সেবা চালু করেছে। এবার পেপাল নিজস্ব ক্রিপ্টোকয়েন প্রচলনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে। পেপাল নিজস্ব ক্রিপ্টোকয়েন নিয়ে ভাবনার বিষয়টি বাণিজ্যসংবাদ প্রকাশনা ব্লুমবার্গকে নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি স্টেবলকয়েন প্রচলনের কথা ভাবছে। পেপালের আইওএস অ্যাপে ‘নিও’ নামের আরেকটি ক্রিপ্টোকয়েনের তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিজস্ব ওয়েবসাইট ‘টেপ ড্রাইভ’ মোসের।
প্রচলিত অন্যান্য ক্রিপ্টোকয়েন বা ডিজিটাল মুদ্রার সঙ্গে স্টেবলকয়েন এর পার্থক্য হচ্ছে, স্টেবলকয়েন এর মূল ধারার আর্থিক ব্যবস্থায় স্বীকৃত মুদ্রার ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ হয়। প্রতিষ্ঠানটি যে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং মার্কিন ডলার সমর্থিত ‘পেপাল কয়েন’ নিয়ে কাজ করছে, অ্যাপের কোড বিশ্লেষণ করে ওই ডেভেলপার তার প্রমাণ পেয়েছেন। পেপাল নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় সমন্বয় করছে। তারই ফলশ্রুতিতে প্রযুক্তিভিত্তিক সাইট সিনেট জানিয়েছে যে পেপাল এবার মার্কিন ডলার সমর্থিত নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের কথা ভাবছে।
সিনেট বলছে যে নিজস্ব স্টেবলকয়েন নিয়ে পেপালের অগ্রগতি কতটা সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব অ্যাপের কোডে যে প্রমাণ মিলেছে, সেটিও এক অভ্যন্তরীণ হ্যাকাথন থেকে এসেছে। পেপাল মার্কিন সেবাগ্রাহকদের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা রাখার সেবা চালু করেছে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। পরের বছরের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠানটি ক্রিপ্টোকারেন্সি সমর্থনের পরিধি আরো বাড়ায়। তারা প্ল্যাটফর্মটির দুই কোটি ৯০ লাখ মার্চেন্টের কাছ থেকে সমর্থিত ক্রিপ্টোকয়েনের মাধ্যমে ক্রয়ের সেবা চালু করেছে। পেপাল এর এক মুখপাত্র পেপাল কয়েন’ লোগোটিও ওই হ্যাকাথন থেকে এসেছে বলে ব্লুমবার্গকে নিশ্চিত করেছেন।
সিনেটের মন্তব্য যে প্রতিষ্ঠানটি এই প্রকল্প নিয়ে আরো এগোলে এর নাম ও বিস্তারিত সবই পাল্টে যেতে পারে। পেপাল তাদের অ্যাকাউন্টে ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা রাখার জন্য কোনো খরচ কাটে না। তবে প্লাটফর্মটি লেনদেনের বেলায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বা তার কম পরিমাণের কিছু অংশ খরচ হিসেবে কেটে রাখে। পেপালের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকয়েন কেনার সবচেয়ে উপকারী দিক হচ্ছে, ক্রিপ্টোকয়েনের বেলাতেও ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেন সেবাটি ব্যবহারকারীদের প্রতারিত হওয়া থেকে রক্ষা করে।