উদ্ভাবক স্টেফান ক্লেইন গেল বছর জুন মাসে এয়ারকার তৈরি করে অনেকেরই চোখ কপালে তুলে দিয়েছিলেন। এই হাইব্রিড একটি বিএমডব্লিউ ইঞ্জিন গাড়ী-উড়ুক্কুযানে রয়েছে এবং এটি সাধারণ গাড়িতে ব্যবহৃত পেট্রোলে চলে। এবার স্লোভাক ট্রান্সপোর্ট অথরিটি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ভূমি থেকে আট হাজার ফিট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম উড়ুক্কু গাড়িকে এয়ারওয়ার্থনেস সার্টিফিকেট দিয়েছে। বিবিসি জানায় যে ৭০ ঘণ্টার ফ্লাইট পরীক্ষা এবং দুইশ’টিরও বেশি উড্ডয়ন ও অবতরণের পর এই সার্টিফিকেশন মিলেছে।
গাড়ি থেকে উড়ুক্কুযানে রূপান্তর করতে সময় লাগে মাত্রই দুই মিনিট ১৫ সেকেন্ড। অধ্যাপক স্টেফান ক্লেইন বলেন যে এই সার্টিফিকেট এখন এই দক্ষ উড়ুক্কু গাড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য দরজা খুলে দিল। মাঝারি-দূরত্বের ভ্রমণকে একেবারে বদলে দেওয়ার এটি চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা। এয়ারকার একটি প্রচলিত আকাশযানের মতোই উড্ডয়ন এবং অবতরণ করে। এটি ওড়ানোর জন্য চালকের পাইলটের লাইসেন্স প্রয়োজন। তবে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্বচালিত আকাশযান এবং উল্লম্ব অবতরণ এবং টেক-অফ করতে সক্ষম এয়ার-ট্যাক্সি আনার জন্য কাজ করছে।
প্রতিষ্ঠানটি গুগল সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ-এর উদ্যোগ কিটি হকের মালিকানাধীন। এই প্রতিষ্ঠানটিও উড়ুক্কু ট্যাক্সি নিয়ে কাজ করছে। এ ছাড়াও সোমবার বোয়িং ‘উইস্ক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ৪৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি অদূর ভবিষ্যতে প্যারিস থেকে লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ডের এভিওনিক্স এবং এয়ারক্রাফট সিস্টেমের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. স্টিভ রাইট বলেন যে আমি সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী যে, কোনো একদিন কয়েকটি এয়ারকার দেখতে পাবো।
তবে আমি মনে করি সামনে এখনও দীর্ঘ পথ বাকী আছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এ ধরনের বাহন সুবিধাজনক এবং এদের অনেকেই বিনিয়োগ পেয়েছে।