বুধবার বিশ্লেষক সংস্থা ইউবিএস এর গবেষণাপত্রের মাধ্যমে জানা যায়, উন্মোচনের দুই মাসের মধ্যেই গ্রাহক অ্যাপ্লিকেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে ব্যবহারকারী বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে চ্যাটজিপিটি। ওই প্রতিবেদনে আরেক বিশ্লেষক সংস্থা সিমিলারওয়েব জানাচ্ছে, জানুয়ারিতে দৈনিক প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ স্বতন্ত্র ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন, যা ডিসেম্বরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। তাদের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে আনুমানিক ১০ কোটি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীদের মাঝে পৌঁছে গিয়েছে ওপেনএআই এর তৈরি জনপ্রিয় এই চ্যাটবট।
বাজার বিশ্লেষক সংস্থা সেন্সর টাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, উন্মোচনের পর থেকে ১০ কোটি গ্রাহকের মাঝে পৌঁছাতে টিকটকের সময় লেগেছে নয় মাস। আর ইনস্টাগ্রামের বেলায় সেটি আড়াই বছর। গবেষণাপত্রে ইউবিএস বিশ্লেষকগণ উল্লেখ করেন, ইন্টারনেট অনুসরণের ২০ বছরে, কোনো গ্রাহক ইন্টারনেট অ্যাপকে এতো দ্রুত বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন প্রম্পটের জবাবে নিবন্ধ, প্রবন্ধ, কৌতুক এবং এমনকি কবিতাও রচনা করতে পারে চ্যাটজিপিটি। নভেম্বর থেকেই সর্বজনীনভাবে অ্যাপটি বিনামূল্যে উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট সমর্থিত সফটওয়্যার কোম্পানি ওপেনএআই।
বৃহস্পতিবার, প্রাথমিকভাবে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য মাসিক ২০ ডলারে গ্রাহক সেবা চালুর ঘোষণা দেয় ওপেনএআই। কোম্পানি বলেছে, এর ফলে তুলনামূলক টেকসই ও দ্রুতগতির সেবার পাশাপাশি বিভিন্ন নতুন ফিচার সবার আগে ব্যবহারের সুযোগও পাওয়া যাবে। কোম্পানি বলেছে, গ্রাহক সেবা থেকে প্রাপ্ত কম্পিউটিং খরচ কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। অবশ্য এরই মধ্যে এই টুলের প্রাপ্যতার কারণে বিভিন্ন একাডেমিক কাজে অসততা ও ভুল তথ্য সন্নিবেশের মতো বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠে এসেছে। গত মাসে ওপেনএআইর পেছনে শত কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট।
বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, চ্যাটজিপিটির ভাইরাল উন্মোচনের মাধ্যমে অন্যান্য এআই কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাড়তি সুবিধা পাবে ওপেনএআই। ওপেনএআইতে চ্যাটবটের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার কম্পিউটিং খরচের কারণ হলেও বিভিন্ন প্রশিক্ষণে চ্যাটবটকে সহায়তার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে উঠে এসেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে।