গেল জানুয়ারিতেই নিজেদের ১৮ হাজার কর্মী অপসারণ করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যামাজন। এবার এবার আরও নয় হাজার কর্মী অপসারণের পরিকল্পনা করেছে অ্যামাজন। কোম্পানির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি বলেন, এটি একটি জটিল সিদ্ধান্ত হলেও দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো। এর কারণ হিসাবে খরচ কমানোর কথা বলেছে এই অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট। জ্যাসি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অ্যামাজনের ব্যবসার বেশিরভাগ জায়গাতেই বিভিন্ন পদ যোগ হয়েছে।
কোম্পানির বিদ্যমান অনিশ্চিত অর্থনীতি ও অদূর ভবিষ্যতের সম্ভাব্য অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে, নিজেদের খরচ ও কর্মী সংখ্যাকে আরও সুবিন্যস্ত করার উপায় বেছে নিয়েছে অ্যামাজন বলে জানান জ্যাসি। বিশ্বব্যাপী দেড় লাখের বেশি কর্মী থাকা কোম্পানিটি বলেছে, মূলত ক্লাউড কম্পিউটিং ও বিজ্ঞাপনী বিভাগের মতো জায়গাগুলোয় এই অপসারণ কার্যক্রম চলবে।।এর প্রভাব কোন দেশগুলোয় পড়বে, তা কোম্পানি এখনও বলেনি। তবে, আসন্ন সপ্তাহগুলোতেই এইসব পদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার উদ্দেশ্যে নিজেদের খরচ কমিয়ে কীভাবে ভারসাম্য আনা যায়, তা নিয়ে সংগ্রাম করছে গুগল ও ফেসবুকের মালিক মেটার মতো অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টও। অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টের মতোই, মহামারী চলাকালীন গ্রাহকরা বাড়িতে আটকে থাকায় অ্যামাজনের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ভোক্তারা জীবনযাত্রার সংকটের কারণে খরচ কমিয়ে ফেলায় কোম্পানির বিক্রির গতিও কমে এসেছে।
এই অপসারণ কার্যক্রমের প্রভাব গিয়ে পড়তে পারে গেইম ও মিউজিক ভিত্তিক লাইভস্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচেও। ১৬ বছর টুইচের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করা এমমেট শিয়ার নিজ পদ থেকে সরে আসার পরপরই এই পদক্ষেপ এলো। ২০১৪ সালে একশ কোটি ডলারে টুইচ কিনেছিল অ্যামাজন। গত সপ্তাহে নিজেদের ১০ হাজার কর্মী অপসারণের পরিকল্পনা জানিয়েছে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক কোম্পানি মেটা। জ্যাসি বলেন, নিজেদের কর্মী হারানো কখনওই সহজ বিষয় নয়।
শেষ পর্যন্ত যাদের ওপর এই অপসারণ কার্যক্রমের প্রভাব পড়বে, কোম্পানি ও গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তাদের কাজের জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানাতে আগ্রহী বলে জানান।