২০১৫ সালে নভোচারী টিম পিকের ‘প্রিনসিপিয়া মিশন’-এর অংশ হিসেবে আইএসএস-এ গিয়েছিল দুটি রাসবেরি পাই কম্পিউটার। এবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে দুটি রাসবেরী পাই কম্পিউটার স্পেস এক্স রকেটে চড়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)’-এ যাচ্ছে। নতুন কম্পিউটার দুটি বিবিসি জানিয়েছে যে এড ও ইজি নামের পুরনো সংস্করণের কম্পিউটার দুটিকে প্রতিস্থাপন করবে। স্কুলের শিক্ষার্থীরা মহাকাশে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর উদ্দেশ্যে আকারে ক্রেডিট কার্ডের সমান কম্পিউটারগুলো প্রোগ্রাম করেছে।
স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোররা ইএসএ-এর কাছ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নতুন কম্পিউটার দুটির জন্য কোড লিখেছে। নতুন রাসবেরী পাই দুটি আইএসএস-এর কম্পিউটারে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং কেমব্রিজভিত্তিক রাসবেরি পাই ফাউন্ডেশন (আরপিএফ)। আরপিএফ কর্মকর্তা অলিম্পিয়া ব্রাউন নতুন রাসবেরি পাই দুটি নভোচারীদের বড়দিনের উপহারের সঙ্গে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। মূলত প্রাইমারি স্কুলের শিশুদের কথা মাথায় রেখেই এই অ্যাস্ট্রো পাই প্রকল্পের সূচনা ঘটে।
আরপিএফ-এর ইউথ পার্টনারশিপ প্রধান ব্রাউন জানিয়েছেন যে শিক্ষার্থীদের কোডিংয়ের একটি উদাহরণ হতে পারে আইএসএস-এর নভোচারীরা দেখতে পাবেন এমন বার্তা কোড করা। ইএসএ জানিয়েছে যে রাসবেরী পাই কম্পিউটার দুটি মহাকাশ উপযোগী বিশেষ কেইসে পাঠানো হয়েছে। দুটি কম্পিউটারেই সেন্স হ্যাট আনুসঙ্গিক যন্ত্রাংশ হিসেবে রয়েছে। উক্ত সেন্স হ্যাটের অংশ হিসেবে রয়েছে জয়স্টিক, ক্যামেরা, সেন্সর এবং এলইডি ডিসেপ্ল যা আলোর তাপমাত্রা, উপস্থিতি, আর্দ্রতা পরিমাপে সক্ষম। আইএসএস-এ ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকায় নভোচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হবে বলে জানিয়েছেন অলিম্পিয়া ব্রাউন।
শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি তরুণদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতে আগ্রহী করে তুলতে ইএসএ এবং আরপিএফ প্রকল্পটি চালু করেছে।