বিশ্বে ৩৫ লাখ সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের প্রয়োজন উল্লেখ করে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের চাহিদা মেটাতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাচেলর ডিগ্রি চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। ৩১ অক্টোবর রবিবার আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো গাইডলাইন্স ও সাইবার সিকিউরিটি ট্রাজেডি ২০২১-২০২৫ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং বিশ্বে বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি র্যাংকিং বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে গত চার বছরে হার্ডওয়্যার শিল্পখাতে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন যে করোনাকালে গত বিশ মাসে সাইবার সিকিউরিটির জন্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বর্তমানে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি সাইবার নিরাপত্তায় জনশক্তির বৈশ্বিক চাহিদার তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।ল এবং বলেন বিশ্বে এখ সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, যা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সারা দেশে ৩৫ লাখ সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের প্রয়োজন। যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স এবং ব্যাচেলর ডিগ্রি চালু করার ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবেও নিজেদের সক্ষমতা তুলতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আবেগ কিংবা অনুভূতি প্রকাশে ব্যক্তি, পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সচেতনতা গড়ে তোলার উপর বিশেষভাবে গুরত্বারোপ করেন।
কোন মহল যেন দেশের সুনাম ও মর্দযা নষ্ট এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সবাইকে সচেতন হবার কথাও তিনি বলেন। এজন্য আইসিটি বিভাগের অধিন ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সতর্ক করে তিনি জানান যে ব্যবহারকারীর অজান্তেই ৭০ হাজারের ও বেশি তথ্য সংগ্রহ করছে ফেসবুক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই তথ্যগুলোর মধ্যে দূর্বল দিকগুলো ব্যবহার করে ব্যবসা করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি এবং সাথে বিলিয়ন ডলার ও আয় করছে। এই দূর্বল এবং ভুয়া তথ্যগুলোর মাধ্যমে ২০১২ সালে রামুতে, ২০১৬ সালে নাসিরনগরে, ২০১৭ সালে ঠাকুর পাড়া, ২০১৯ সালে ভোলায় এবং ২০২১ সালে কুমিল্লা, চাঁদপুর সহ বেশ কিছু জেলায় প্রানহানী ও সম্পদ বিনষ্ট করার তথ্য জানা গেছে।
ফেসবুকের বর্তমানে সবথেকে বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে ব্যবহারীদের গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন তথ্যগুলো জমা করে রাখা। আর এই ডেটা সংগ্রহের বিষয়ে ব্যবহারকারীদের পূর্বে কোন সতর্ক বার্তা দেয়া হয় না। অর্থাৎ ব্যবহারকারী বুঝতে পারবে না কখন এবং কিভাবে ফেসবুক তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে। ফেসবুক তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর আচরন, গতিবিধি সবকিছুই লক্ষ করছে। যেহেতু ফেসবুক থেকে ব্যবহারীদের ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ বিষয়ে একমাত্র ফেসবুকই নিয়ন্ত্রন করছে এবং এর কোন নিয়ন্ত্রন ব্যবহারকারীদের হাতে নেই সেই বিষয়ে গুলো বিবেচনা করে প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে নিজেদের মূল্যবান, স্পর্শকাতর এবং ব্যক্তিগত ডেটা প্রকাশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সর্তকতা বিষয়ে জোড়ালোভাবে পরামর্শ দেন।