সম্প্রতি প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ উঠে আসে। নারী কর্মীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় গুগল বাদীপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছে। মার্কিন প্রকাশনা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে যে সাড়ে ১৫ হাজার নারী গুগলের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই ক্লাস-অ্যাকশন মামলাটির অংশ ছিলেন। ক্লাস-অ্যাকশন মামলা সমাধান করতে গুগল ১১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে। ক্লাস-অ্যাকশন মামলার মূল বাদী একজন হলেও ওই ঘটনার ভুক্তভোগী সকলেও ক্ষেত্রেই মামলার রায় কার্যকর হয়।
গুগলের বিরুদ্ধে তিন নারী কর্মীর লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটির খবর প্রথম ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, ক্যালিফোর্নিয়ার শ্রম আইন ভঙ্গ করে গুগল নারী কর্মীদের প্রায় ১৭ হাজার ডলার কম বেতন দিচ্ছে। মামলায় বাদীপক্ষ আরও অভিযোগ করেছিল, গুগল পুরষকর্মীদের পেশাগত খাতে অগ্রসরে বাড়তি সুবিধা দেয়। তাই এবার ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি সমঝোতার অংশ হিসেবে গুগলকে এখন শ্রমবাজার বিষয়ক স্বাধীন অর্থনীতিবিদদের দিয়ে নিজস্ব নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বেতন কাঠামো যাচাই করিয়ে নিতে হবে।
গত এক দশকে প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একই ধরনের বেশ কিছু মামলা হয়েছে। এর আগে মাইক্রোসফট ও টুইটারের বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগে ক্লাস-অ্যাকশন মামলা দায়ের করার চেষ্টা হলেও সেগুলো ব্যর্থ হয়েছে। অ্যাপল ও রায়ট গেইমসের বিরুদ্ধেও নারী কর্মীদের কম বেতন-ভাতা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সফটওয়্যার নির্মাতা ওরাকল একই অভিযোগে ক্লাস-অ্যাকশন মামলার ঝুঁকিতে আছে। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, এই ক্লাস অ্যাকশন মামলাটি ছাড়াও একাধিকবার গুগলের বিরুদ্ধে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।
গত বছরে এমন আরেকটি মামলায় সমঝোতার জন্য গউগল ২৫ লাখ ডলার দিয়েছিল। ২০২১ সালের মামলাটির বাদীপক্ষের অভিযোগ ছিল, গুগল নারী কর্মীদের কম বেতন দেয় এবং এশীয় বংসদ্ভুত চাকরিপ্রার্থীদের অগ্রাহ্য করে। মামলার সমঝোতা প্রসঙ্গে বাদীদের একজন হলি পিজ বলেন যে সমঝোতার অংশ হিসেবে গুগল যে পদক্ষেপগুলো নিতে রাজি হয়েছে সেগুলো নারীদের জন্য সমতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।