Reading Time: 6 minutes

Linux মানেই একটি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম। ১৯৯১ সালে ইউনিক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম “মিনিক্স” নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র তৈরি করে ফেলে একটি অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল যা এখন Linux নামে সারা বিশ্বে পরিচিত। সেই ছাত্রের নাম লিনুস তোরভাল্দ্স (Linus Torvalds)

কম্পিউটার শব্দটিকে যদিও অনেকে ভারী বলতে চাইবেন না। দৈনন্দিন কাজের প্রায় সবকিছুতেই কম্পিউটার ব্যবহার করা লাগে। যার জন্য কম্পিউটারকে আর স্পেশাল কোনো যন্ত্র ভাবার আর সুযোগ সুযোগ নেই। আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজ, দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করি । কম্পিউটার হচ্ছে আমাদের কাছে বিভিন্ন কাজ করার সাধারণ একটা ‘টুল’ মাত্র। কিন্তু কম্পিউটার এক্সপার্টের কাছে কম্পিউটার শুধু সাধারণ কাজের একটি ‘টুল মাত্র’ না। কম্পিউটার সম্পর্কে তার গভীর জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এ জন্য তাকে কম্পিউটারকে বুঝতে হয়, জানতে হয় কম্পিউটার কোন কাজটি কীভাবে করে থাকে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কেও তার থাকতে হয় গভীর ধারণা।

সাধারণ ব্যবহারকারীদের মাঝে Microsoft Windows সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। যার লাইসেন্স কিনতে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। যারা টাকা দিয়ে লাইসেন্স কিনতে পারে না তাদের বিভিন্ন পাইরেসির মাধ্যমে এর লাইসেন্স নিয়ে ব্যবহার করে থাকে যা ক্ষনস্থায়ী এবং বিপদজনক। উইন্ডোজ তৈরি হয়েছিল সাধারণ ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্য করে। Microsoft তাই Windows কে ডেস্কটপের সাধারণ ব্যবহারের জন্য যতটা উপযোগী করতে পেরেছে প্রোগ্রামিংয়ের জন্য ততটা উপযোগী করে তুলতে পারেনি। সেটি করা খুব সহজও নয়। কারণ হচ্ছে এর গঠন-কাঠামো।

কোনো সমস্যা হলে উইন্ডোজ একটা হেক্সাডেসিমেলl “Error” কোড দেখিয়ে বসে থাকে, কোনো বিস্তারিত তথ্য দেখায় না। ফলে সমস্যাটা আসলে কী, তা ব্যবহারকারী জানতে পারে না। আবার উইন্ডোজ ডায়াগনসিস নিজে নিজে অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। ফলে আসল সমস্যাটি কী হয়েছিল এবং সেটি কীভাবে সমাধান করা হলো তা আর ব্যবহারকারীরা জানতে পারে না। সাধারণ ব্যবহারকারীদের এটা জানার দরকারও নেই। কিন্তু কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা করা একজন শিক্ষার্থী এবং একজন কম্পিউটার এক্সপার্ট এর জন্য এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে Linux একেবারে প্রথম থেকেই সকলের জন্য উন্মুক্ত। এবং এর সবকিছু একদম উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে সিস্টেমের যেকোনো অংশ দেখতে পারে। কোনো বাধা বিঘ্নতা ছাড়াই যে কেউ চাইলেই জানতে পারে Linux অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন ডিভাইসের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করে বা সেগুলোর মাধ্যমে কীভাবে সিগনাল গ্রহণ করে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে থাকে। একজন ডাক্তার যেমন রোগীর দেহের সব খুঁটিনাটি জানেন, কম্পিউটার বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থীরও কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের (অপারেটিং সিস্টেম) সব খুঁটিনাটি জানতে হয়। একমাত্র Linux-ই এই জানার সুযোগটা পুরোপুরি দিয়ে থাকে। উইন্ডোজের কার্নেলটা এখন কেউ কয়েক বিলিয়ন ডলার দিয়েও পাবে না। কিন্তু লিনাক্সের কার্নেল ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন যেকোনো ব্যক্তিই যেকোনো সময় দেখতে পারে, নিজের মতো পরিবর্তন করতে পারে, নিজের ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারে, এবং অন্যকেও দিতে পারে।

যারা সফটওয়্যার ডেভেলপার, নিজে নিজে সবকিছু করতে পছন্দ করেন, তারা সাধারণত সব কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেই বেশি আগ্রহী থাকেন। একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর জন্য এই আগ্রহ জরুরি। একজন প্রোগ্রামার সারাজীবনে যত কোড লেখে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অন্যের লেখা কোড পড়ে। লিনাক্সের প্রায় সবকিছু মুক্ত (ওপেনসোর্স) হওয়ায় কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর এর ভেতরের সবকিছু দেখে, কোড পড়ে, এমনকি চাইলে পরিবর্তন করে অনেক কিছু শিখে নিতে পারে।

নিরাপত্তা বিষয়ক কথাগুলো আজকাল এতো বেশি শুনতে হয় যে এটা নিয়ে কিছু না বলে থাকা দায়। ইন্টারনেটের এই যুগে প্রায়ই দেখা যায় বিশাল বিশাল তথ্য ফাঁস, তথ্য চুরিসহ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অসংখ্য ঘটনা। নিজে কিছুটা সচেতন হলে হয়তো কিছুটা নিরাপদ থাকা যায়। কিন্তু আমরা মানুষ, তাই স্বভাবতই হয়তো আজীবন সর্তক হয়ে থাকতে পারি না। উইন্ডোজে বিশাল বিশাল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিশাল বিশাল নিরাপত্তা সফটওয়্যার পাওয়া যায় যেগুলো আবার কম্পিউটারের কার্যক্ষমতার বিশাল একটা অংশ দখল করে বসে থাকে। ফলে আপনার হাতির ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারটি কাজ করতে পারে শ্লথ এর (পৃথিবীর সব থেকে অলস প্রাণী) ক্ষমতায়।

আবার সেই সফটওয়্যারটি হয়ত নতুন কোনো কোনো ভাইরাস/ম্যালওয়্যারকে চিনতে পারে না। সুতরাং শ্লথ কম্পিউটারটিও যেকোনো সময় একেবারের জন্যে শুয়ে পড়তে পারে—নিরাপত্তা নিয়ে এমন একটা ভয় তো আছেই। তবে নিঃসন্দেহে Linux-এ সেই ভয়টি নেই। Linux এর নিরাপত্তা আপডেটগুলো সব সময় চলমান থাকে। যেকোনো নিরাপত্তা-ত্রুটির জন্য প্যাচ (patch) পাওয়া যায় সঙ্গে সঙ্গেই। সে জন্য অ্যান্টিভাইরাস নামক অন্য এক ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সিস্টেমের ফাইল/প্রোগ্রামগুলো সামান্য পরিবর্তন করতে হলে Linux পাসওয়ার্ড লাগে। কোনো ক্ষতিকর প্রোগ্রাম তাই চাইলেও সিস্টেমের কোনো ক্ষতি করতে পারে না।

Linux প্রায় সব সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউটরদের নিজস্ব নিরাপদ রিপোজিটরিতে থাকে। সেখানে ম্যালওয়্যার থাকার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি। আর থার্ডপার্টি পরিচিত সফটওয়্যারগুলো নিজস্ব ওয়েবসাইটে থাকায় সেগুলো নিরাপদ। উইন্ডোজের অনেক সফটওয়্যারই ইন্টারনেটের বিভিন্ন জানা-অজানা ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হয়, যেগুলোতে ম্যালওয়্যার থাকা প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা। তাই নিরাপদ থাকতে, নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে তাই Linux-ই একমাত্র নির্ভরযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম । Linux-কে নিজের ইচ্ছামতো কাস্টমাইজ করা যায় এবং কনফিগার করা যায়। এটা Linux এর অন্যতম বড় শক্তি। আমার সিস্টেম আমি নিজের ইচ্ছামতো সাজাব, সবকিছু আমার সুবিধা অনুযায়ী আমার হাতের কাছে থাকবে এবং আমি যা চাইব শুধু তাই থাকবে। Linux এর ফাইল সিস্টেম উন্মুক্ত। সবকিছু নির্দিষ্ট ধারা মেনে চলে।

বিজ্ঞাপন (কেন?)

আগের কোনো ধারণা না থাকলে ব্যবহারে সহজ ও সরল হওয়ায় যে কেউ কয়েক ঘণ্টা ফাইল ম্যানেজার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলেই Linux অপারেটিং সিস্টেমের মোটামুটি গঠনটা বুঝে ফেলতে পারবে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থীর জন্য নিজের অপারেটিং সিস্টেমের গঠনটা বোঝা জরুরি। বলা হয়ে থাকে যে Linux প্রোগ্রামারদের জন্য প্রোগ্রামারদের দ্বারাই তৈরি। তাই প্রোগ্রামিং-সংক্রান্ত সকল কাজগুলো Linux-এ খুব সহজ ও স্বাভাবিকভাবে করা যায়। সি/সি++ বা পাইথনের মতো ল্যাঙ্গুয়েজে কাজ করতে গেলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লাইব্রেরি ব্যবহার করতে হয়। Linux-এ এগুলো ইনস্টল ও ব্যবহার করা একেবারে সহজ। Linux থেকে ওয়েব প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা তুলনামূলক সহজ। অপরদিকে উইন্ডোজে কোনো লাইব্রেরি ইনস্টল করা যেমন ঝামেলার, ব্যবহারও তেমনই ঝামেলার (ব্যাপারটি অবশ্য আপেক্ষিক)।

Linux-এর অন্যতম বড় শক্তি হচ্ছে এর কমান্ডলাইন। এটা এর অন্যতম শক্তি হলেও, বেশিরভাগ মানুষ শুরুতে Linux কে ভয় পায় একমাত্র এই কমান্ডলাইনের কারণেই। তবে এখন দিন পাল্টেছে। একজন ব্যবহারকারী মাসের পর মাস কমান্ডলাইনে না গিয়ে শুধু গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস দিয়েই তার সব কাজ চালিয়ে নিতে পারে। আগে Linux না ব্যবহার করার আরেকটি অজুহাত ছিল—Linux-এ প্রয়োজনীয় কাজের সফটওয়্যার পাওয়া যায় না। এখন এই অজুহাত মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ Linux-এ এখন ছবি সম্পাদনা থেকে শুরু করে সুপারহিট কমার্শিয়াল অ্যানিমেশন মুভি পর্যন্ত বানানো যায়। উদাহরণস্বরূপ, পিক্সার (Pixar Animation Studio) Linux ব্যবহার করে।

ওপেনসোর্স অ্যানিমেশন তৈরির সফটওয়্যার ‘ব্লেন্ডার’ দিয়ে তারা চমৎকার সব অ্যানিমেশন মুভি উপহার দিচ্ছে। তবে কমান্ডলাইন যে কী জিনিস তা প্রত্যেক অভিজ্ঞ Linux ব্যবহারকারীই জানে। কমান্ডলাইনে এমন সব কাজ কয়েক সেকেন্ডে করে ফেলা যায় যেগুলো সাধারণভাবে করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। Linux শেল ও শেল স্ক্রিপ্টের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেলে যেকোনো কাজ অটোমেটিক করে ফেলা সম্ভব—যেগুলো নিজে নিজে করা যায়।

Linux ডিস্ট্রিবিউশনগুলো একেবারে সব কাজের জন্য তৈরি হয়ে আসে। ইনস্টলের পরপরই ছবি সম্পাদনার জন্য জনপ্রিয় ওপেনসোর্স সফটওয়্যার গিম্প, ভেক্টর গ্রাফিক সম্পাদনার জন্য ইংকস্কেপ, অফিস স্যুট হিসেবে লিব্রাঅফিস বা ওপেনঅফিসের পুরো প্যাকেজ, ব্রাউজার হিসেবে ফায়ারফক্স, একটি ইমেইল ক্লায়েন্ট, টরেন্ট ক্লায়েন্ট, জনপ্রিয় ওপেনসোর্স মিডিয়া প্লেয়ার ভিএলসি, টেক্সট এডিটর হিসেবে সাধারণ একটি এডিটরের পাশাপাশি চমৎকার কমান্ডলাইন এডিটর ভিম, ইম্যাকস বা ন্যানো পাওয়া যায়। Linux যেহেতু ডেভেলপারের জন্য (সাধারন ইউজারদের জন্য না, তা নয়), সেহেতু এখানে পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্ট, পার্লের মতো জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। অন্য প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো ইনস্টল করাও একটা কমান্ডের ব্যাপার। বেশিরভাগ প্রোগ্রামিং টুল প্রধানত Linux এর জন্যেই তৈরি হয়। Linux ব্যবহারের আরেকটা কারণ হচ্ছে ছাত্র এবং পেশাগত জীবনে এর ব্যবহার। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল পড়তে গেলে অপারেটিং সিস্টেম নামে এক বা একাধিক কোর্স থাকে। সেই কোর্সে একটা অপারেটিং সিস্টেমের মৌলিক খুঁটিনাটি শেখানো হয়। Linux এর সোর্সকোড উন্মুক্ত বলে এই কোর্স Linux দিয়েই করানো হয়। পাশাপাশি যাদের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার ইচ্ছা আছে, তাদের তো Linux কার্নেল ছাড়া কোনো গতি নেই। তাই Linux ব্যবহার এবং এর মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর পরিষ্কার ধারণা থাকা আবশ্যক।

প্রফেশনাল জীবনে যারা বড়সড় বা মাঝারি ধরনের কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করবে তাদের জন্য Linux জানা বাধ্যতামূলক। খুব দক্ষ হতে হবে এমন নয়, মৌলিক ধারণাগুলো যেমনঃ- কমান্ডলাইন ব্যবহার, মৌলিক ও দৈনন্দিন ব্যবহার্য কমান্ডগুলো, কোনো একটা কমান্ডলাইন এডিটর (ভিম, ন্যানো, ইম্যাকস) ব্যবহার, কমান্ডলাইনে গিট (git) ব্যবহার ইত্যাদি জানতে হয়। যারা সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হবে বা সার্ভার নিয়ে কাজ করার সম্ভাবনা আছে তাদের অবশ্যই Linux ব্যবহার করতে হবে। কারণ নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানি Linux সার্ভার ব্যবহার করে। যারা করে না তাদের বড় একটা অংশও Linux-এ চলে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, খোদ মাইক্রোসফটও Linux সার্ভার ব্যবহার করে। আর Linux সার্ভারে কোনো গুই (GUI), অর্থাৎ গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস নেই। সার্ভারের সব কাজ কমান্ডলাইনে করতে হয়।

এটা শুনে (পড়ে) ভয় পাওয়ার কিছু নেই। Linux এর কমান্ডলাইন ব্যবহার করা শুনতে যত কঠিন মনে হয় বাস্তবে ঠিক ততটাই সহজ ও মজার। সাধারনত দেখা যায় যারা Linux ব্যবহার করে অভ্যস্ত, অন্যদের তুলনায় তারা অনেকটাই এগিয়ে থাকে। Linux-এ প্রোগ্রামিং করতে গেলে দেখা যায় অনেক কিছু কমান্ড লিখে করতে হয় (আজকাল ভারী ভারী আই.ডি.ই থাকার কারণে হয়তো সব সময় এটা করতে হয় না, তবে শুরুতে করতে হয়)। এই কারণে তাদের অনেক কিছু জানতে হয়। একজন নতুন Linux ব্যবহারকারী প্রোগ্রামার যা জানে, একজন উইন্ডোজ ব্যবহারকারী অভিজ্ঞ প্রোগ্রামারও তা জানে না। Linux ব্যবহারকারীরা যেসব বিষয় জানে, যেসব বিষয়গুলো একজন Linux ব্যবহারকারীকে জানতে হয়—উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা সেসব জানবে তো দূর, সেসব কল্পনাও করেনা। এই কথার সত্যতা আপনারা নিজের পরিচিত Linux ব্যবহারকারীদের সাথেও আলোচনা এবং যাচাই করতে পারেন।

সবকিছু শোনার পরে এবং যাচাই করার পরে কে কী ব্যবহার করবে তা একান্তই ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এখানে Linux এর কিছু সুবিধার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো। যদি আপনার কাছে সমস্ত বিষয়গুলি সত্যিই সুবিধাজনক মনে হয়, তাহলে একবার Linux এর দুনিয়া থেকে একটু ঘুরে আসতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.