6G পরিষেবার ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনগুলোতে ‘কমন ইন্টারফেস’ দেখা যাবে না, তা জানিয়ে নকিয়া প্রধান বলেন, 6G ব্যবহারের ফলে বাস্তব জগত এবং ডিজিটাল বিশ্ব একসাথে এগিয়ে যাবে।
২০৩০ সালের মধ্যে 6G মোবাইল নেটওয়ার্ক বাণিজ্যিকভাবে গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসবে Nokia। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (WEF) ২০২২-এ দেওয়া বক্তব্যে এমনটাই বলেছেন নকিয়ার সিইও পেক্কা লুন্ডমার্ক “Pekka Lundmark”। লুন্ডমার্ক বলেন যে, 6G মোবাইল নেটওয়ার্ক, একবার চালু হলে, স্মার্টফোনগুলিকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে পারে। ৬জি মোবাইল নেটওয়ার্কিংয়ের কার্যক্রম ২০২৫ সালে শুরু হতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে রোলআউট করা হবে।
6G পরিষেবার ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনগুলোতে ‘কমন ইন্টারফেস’ দেখা যাবে না, তা জানিয়ে নকিয়া প্রধান বলেন, 6G ব্যবহারের ফলে বাস্তব জগত এবং ডিজিটাল বিশ্ব একসাথে এগিয়ে যাবে। পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কিং পরিষেবা ব্যবহার করে মানুষ ‘ভার্চুয়াল রিয়ালিটি’ বা ভিআর জগতে যেতে পারবে, যা বাস্তবিক জগতে কিছুটা পরিবর্তন আনবে। এদিকে, বিশ্বের শীর্ষ টেক জায়ান্ট অ্যাপল, গুগল এবং এলজির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক (6G) নিয়ে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ শুরু করেছে। উল্লেখ্য, প্রকাশিত একাধিক রিপোর্টে দেখা গেছে, 5G এর তুলনায় 6G প্রায় ১০০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন হবে। যদিও বিশ্বের অনেক দেশেই এখনো 5G এর ছোয়া মিলেনি।
সে ব্যাপারে কাজ চলছে
নিউরালিংকের মতো বেশ কয়েকটি বর্তমানে কোম্পানি, শরীরে এম্বেড করা যেতে পারে এমন চিপ তৈরি এবং ডেভেলপের জন্য কাজ করছে। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি টেসলা গত বছর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল। যেখানে একটি ম্যাকাককে পিং পং খেলতে দেখা গেছে।
আরো সময় লাগতে পারে বলে মতামত
6G নেটওয়ার্ক এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই মুহুর্তে 6G নেটওয়ার্কের জন্য কোনও আদর্শ ডেফিনেশন নেই। যদিও লুন্ডমার্ক তার বিবৃতি বা তার দাবি গুলো গভীর ভাবে পর্যালোচনা করেননি। তিনি বলেছিলেন যে ভৌত এবং ডিজিটাল বিশ্ব একসঙ্গে বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন যে মেটাভার্সের মতো ধারণাগুলি 6G এর সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। যে ডিভাইসগুলি অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর)-এর জন্য সাপোর্ট দিবে, সেগুলিও আগামী বছরগুলিতে মেইস্ট্রিমে পরিণত হতে পারে। যদিও কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এবং 6G নেটওয়ার্কগুলোর ব্যাপক রোলআউটের অপেক্ষায়। ভারতের মতো দেশগুলি এখনও 5G-এর এক্সপেরিয়েন্স সম্পূর্ণভাবে পায়নি। এই বছরের শেষের দিকে হতে পারে 5G স্পেকট্রাম এর নিলাম। তার পরেই হতে পারে 6G এর বাণিজ্যিক রোলআউট।