Reading Time: < 1 minutes

মঙ্গলবার রেডওয়্যার কর্পোরেশন তাদের তৈরি বাণিজ্যিক গ্রীনহাউজ ২০২৩ সালের বসন্তেই মহাকাশে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন কোম্পানিটি মহাকাশে ব্যবহারের উপযোগী যন্ত্রপাতি এবং মহাকাশ যানের যন্ত্রাংশের নকশা ও নির্মাণের কাজ করে। সরকারি অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আছে আগে থেকেই। প্রথম বাণিজ্যিক স্পেস স্টেশনের এবার যাত্রা শুরু হচ্ছে। আগামী বছরই নিজ ঠিকানায় পৌঁছাবে এ মহাকাশ গবেষণাগার। আর সেখানে প্রথম বানিজ্যিক গ্রীনহাউজ তৈরি হবে।

গহীন মহাকাশ যাত্রার বেলায় নভোচারীদের খাবারের যোগান দিতে উপযোগী ফসল উৎপাদন বাড়ানোর প্রযুক্তি নিয়ে এই স্পেস গ্রীনহাউজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে বলে প্রযুক্তি ভিত্তিক সাইট রয়টার্স প্রতিবেদনে জানাচ্ছে। রয়টার্স আরো জানিয়েছে যে চাঁদে নভোচারীদের অবতরণ করিয়ে পর্যায়ক্রমে একটি স্পেস কলোনি তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে নাসা। রেডওয়্যার দাবি করছে, মহাকাশের প্রথম বাণিজ্যিক গ্রীনহাউজটি মহাকাশেই ফসল উৎপাদনের সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়াবে।

মহাকাশে রেডওয়্যারের প্রথম ক্রেতা হবে বাণিজ্যিক কৃষিপণ্য কেন্দ্রীক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ডিউই সায়েন্টিফিক’। ইতোমধ্যেই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন বা আইএসএস এ ডিউই সায়েন্টিফিকের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। আইএসএসের গবেষণার জন্য একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্ল্যান্ট গ্রোথ সিস্টেম বানিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি। রেডওয়্যারের গ্রীনহাউজ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ডেভ রিড জানিয়েছেন, নাসার আর্টেমিস প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে গ্রীনহাউজটি।

নাসার আর্টেমিস প্রকল্প কেবল নাসার চাঁদে ফেরার প্রচেষ্টা নয়, পরিকল্পনা সফল হলে আর্টেমিসের হাত ধরে মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু হবে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.