Reading Time: 2 minutes

অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেবা অ্যালেক্সা ১০ বছরের এক শিশুকে বৈদ্যুতিক সকেটে অর্ধেক ঢুকে থাকা প্লাগে ধাতব কয়েন স্পর্শ করানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল। অ্যালেক্সা শিশুদের এমন বিপজ্জনক বুদ্ধি দিচ্ছে জানার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যামাজন আপডেট করে ত্রুটি সংশোধনের দাবি করেছে। ১০ বছরের শিশু অ্যালেক্সার কাছে চ্যালেঞ্জ চেয়েছিল, উত্তরে অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেবাটি ওয়াল আউটলেটে একটা ফোন চার্জার অর্ধেক প্রবেশ করিয়ে তারপর উন্মুক্ত ধাতব অংশে একটা পেনি স্পর্শ করাতে বলে। ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সেবাটি শিশুদের এমন বিপজ্জনক বুদ্ধি দিচ্ছে জানার পরপরই অ্যামাজন ত্রুটি সংশোধনের দাবি করেছে।

ভূক্তভোগী শিশুর মা ক্রিস্টিন লিভডাল পুরো ঘটনার বিস্তারিত টুইটারে পোস্ট করেন। বিবিসি জানিয়েছে যে উক্ত চ্যালেঞ্জটি দ্যা পেনি চ্যালেঞ্জ নামে অনলাইন দুনিয়ায় পরিচিতি রয়েছে। বছরখানেক আগে টিকটক এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে এর নজরে পড়ার মতো উপস্থিতি ছিল। শিশুটির মা টুইটারে বলেন যে তারা ইউটিউবের এক শরীরচর্চা শিক্ষকের ভিডিও দেখে কিছু শারীরিক চ্যালেঞ্জ নিচ্ছিলেন। বাইরে আবহওয়া বাজে ছিল। তার বাচ্চা শুধু আরেকটা চ্যালেঞ্জ চেয়েছিল। অ্যালেক্সার কাছে আরেকটা চ্যালেঞ্জ চাওয়ার পর  অ্যামাজনের ইকো স্পিকার ইন্টারনেট থেকে পাওয়া ওই চ্যালেঞ্জ বলে দেয় তার বাচ্চাকে।

অ্যালেক্সা তার বাচ্চাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বারবার অ্যালেক্সাকে না বলে চিৎকার করে ওঠেন বলে লিভডাহল টুইট করেছেন। যদিও তিনি তার ১০ বছর বয়সী বাচ্চা অ্যালেক্সার কথা শুনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো বোকা নয় বলেও জানিয়েছেন। বার্তাসংস্থা বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে অ্যামাজন বলেছে যে ভবিষ্যতে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টটি যেন এমন পরামর্শ আর না দেয় সেজন্য ইতোমধ্যেই অ্যালেক্সার জন্য আপডেট এসেছে। তারা বলেন যে তারা যাই করুক না কেন, তার মূলে ক্রেতাদের বিশ্বাস রয়েছে।

আর ক্রেতাদের সঠিক, প্রাসঙ্গিক এবং সহায়ক তথ্য সরবরাহ করার জন্য অ্যালেক্সার ডিজাইন করা হয়েছে। তারা উক্ত ত্রুটি সম্পর্কে জানামাত্রই এটি সংশোধনে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। কথিত দ্য পেনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্নিনির্বাপক বাহিনীও ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দিয়েছিল। যুক্তরাজ্যের কার্লাইল ইস্ট ফায়ার স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাইকেল ক্লাস্কার এর ফলে ভুক্তভোগীরা মারাত্নকভাবে আহত হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন। যেসব ধাতব পদার্থে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ চালু আছে এমন কোনো সকেটে ধাতব পদার্থ প্রবেশ করালে তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার অথবা অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এমন চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীরা নিজের আঙুল, কব্জি এমনকি পুরো হাতই হারিয়ে ফেলতে পারেন।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.