Reading Time: 2 minutes

বর্তমানে যেসব প্রচলিত কম্পিউটার ব্যবহার করা হচ্ছে তা বেশিরভাগই বাইনারি ইনফরমেশনের ভিত্তিতে চলছে। তারা ০ অথবা ১ এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই দুই বাইনারি ইনফরমেশনকে বলা হয় বিটস। হাতের সেলফোন, অফিসের ল্যাপটপ থেকে সুপার কম্পিউটার, প্রচলিত সব কম্পিউটারের কাজের ভিত্তিই বিটস ভিত্তিক অর্থাৎ বাইনারি। প্রচলিত বাইনারি পদ্ধতিতে কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে দিয়ে কাজ করালে এর পূর্ণ সক্ষমতা পাওয়া যায়না।

আর এমনটা দরকারও নেই, কারণ এর বাইরে ও কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে। আর এই বিশেষ কম্পিউটারের সুপিরিওরিটি এখানেই। কোয়ান্টাম কম্পিউটার খুবই শক্তিশালী যা আজকের দিনের কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক হাজার গুণ দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারবে। অর্থাৎ এটি অনেক দ্রুত অনেক বেশি তথ্য প্রসেস করার সক্ষমতা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে কোয়ান্টাম কম্পিউটার আবিষ্কৃত হলে মানুষের হাতে অপরিসীম কম্পিউটিং ক্ষমতা চলে আসবে।

বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন যে বলছেন এখনকার সাধারণ একটি কম্পিউটারকে যদি গরুর গাড়ির সঙ্গে তুলনা করা হয় তাহলে কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে দ্রুত গতির বুলেট ট্রেন কিংবা রকেটের সঙ্গে তুলনা করা যাবে। বর্তমান ব্যবহৃত কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটার দুটোই হয়তো একই কাজ করে, কিন্তু এখানে ব্যাপারটি একেবারেই আলাদা। এ ধরনের কম্পিউটার অত্যন্ত জটিল সমস্যা খুবই অল্প সময়ে সমাধান করতে পারবে। আগে একটা পাসওয়ার্ড ভাঙতে সাধারণ কম্পিউটারের হয়তো ১০ বছর লাগতো।

কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কয়েক সেকেন্ড লাগবে। যে কাজ করতে একটি সাধারণ কম্পিউটারের এক মিনিট সময় লাগে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেই কাজটি করতে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগবে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন যে সমস্যা সমাধান করতে আগে একশ বছর লাগতো সেটা এখন মূহুর্তের মধ্যেই করা যাবে। এর এলগরিদম, কাঠামো সবকিছুই সাধারণ কম্পিউটার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মানের হবে। আইবিএম, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন (কেন?)

অথচ বাইনারি কিউবিটস প্রযুক্তির বাইরে এসে কাজ করার সুযোগ থাকলেও কোয়ান্টাম প্রযুক্তির মধ্যেই তারা প্রচলিত কম্পিউটারের কিউবিটস ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলোকে তৈরি করা হয়েছে ০ ও ১ বিটের বাইরে এসে কাজ করার জন্য। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের পক্ষে ০ বা ১ এর পাশাপাশি একই সঙ্গে ০ ও ১ এ অবস্থান করা সম্ভব। এক্সপেরিমেন্টাল ফিজিসিস্ট ইনসবার্ক গবেষক দলের সদস্য মার্টিন রিংবাউয়ার বলেন, ০ ও ১ এর বাইরে এসে কাজ করা শুধু কম্পিউটার সিস্টেমের জন্যই নয়, অ্যাপ্লিকেশনের জন্যও স্বাভাবিক।

যেটি আমাদের কোয়ান্টাম সিস্টেমের প্রকৃত সম্ভাবনাকে উন্মেচিত করে। নতুন একটি গবেষণায়, ইনসবার্ক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ক্যালসিয়াম অ্যাটমের মধ্যে একটি তথ্য রাখেন। পরবর্তিতে দেখা যায় তা একই সঙ্গে আটটি ভিন্ন ভিন্ন স্টেটে জমা হয়, যেখানে সাধারণত দুইটি মাত্র ব্যবহার করা যায়। ফলে যেকোনো সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একই সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে কম্পিউটার সিস্টেম। অধিকাংশ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কোনো সমস্যা সমাধানে একের অধিক কোয়ান্টাম স্টেটে কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এবার বিজ্ঞানিরা দাবি করছেন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে ঠিক এমনটাই করে দেখাতে পেরেছেন তারা। তাদের দেখানো কিউবিট পদ্ধতিতে নয়, কোয়ান্টাম কম্পিউটার কাজ করে কোয়ান্টাম ডিজিট “কিউডিটে”। কিউডিট কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কম্পিউটিং সক্ষমতাকে আরো বাড়িয়ে দেবে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.