কম্পিউটার বিজ্ঞানী ক্রেইগ রাইট নিজেকে বিটকয়েনের উদ্ভাবক হিসেবে দাবি করছেন। ১১ লাখ বিটকয়েনের মালিক রাইটের কাছে তার সাবেক সহকর্মীর পরিবারের সদস্যরা অর্ধেক সম্পদের মালিকানা দাবি করে মামলা করেছিলেন। এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছেন যে নিজের হাতে থাকা বিপুল পরিমাণ বিটকয়েনের অর্ধেক না দিলে সম্পদের অপব্যবহারের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ক্রেইগ রাইট সাবেক সহকর্মী ডেভ ক্লেইম্যানের পরিবারকে ১০ কোটি ডলার দেবেন। মামলার পর মায়ামির আদালত রাইটের পক্ষেই রায় দিয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, রাইটের বিরুদ্ধে ক্লেইম্যানের পরিবার যতো অভিযোগ ছিল, তার প্রায় সবই মায়ামির আদালত খারিজ করে দিয়েছে।
রাইটের হাতেই ৫ হাজার ৪শত কোটি ডলার সমমূল্যের বিটকয়েন থাকবে বলে জানায় মায়ামির আদালত। এক বিবৃতিতে ক্লেইম্যান পরিবারের আইনজীবীরা বলেন যে আদালতের রায়ে ক্লেইম্যানের পরিবার অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তারা মন্তব্য করেন যে আদালতের জুরি বোর্ড বাদীপক্ষকে সম্পদের অপব্যবহারের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি ডলার ধার্য করার ফলে ডেভ রাইটকে যতটুকু সাহায্য করেছিল সেই পরিমাণ যথাযথ প্রাপ্য ডেভ এর পরিবার পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাইট বলেছেন আদালতের রায়ে স্পষ্ঠভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনিই বিটকয়েনের প্রধান উদ্ভাবক।
তার মতে জুরিরা তাকে বিটকয়েনের প্রকৃত উদ্ভাবক হিসেবে বিবেচনা করেছেন, তা না হলে জরিমানার কোনো প্রশ্নই আসতো না। তিনি আরো বলেন যে এটি তার মতে খুব ভালো ফলাফল এবং তিনি বিটকয়েনের প্রকৃত উদ্ভাবক হিসেবে পুরোপুরি স্বীকৃতি পেয়েছেন। ডেভ এর পরিবারের অভিযোগ বিশ্বের প্রথম বিটকয়েন ক্লেইম্যান ও রাইট মিলে উদ্ভাবন করেছিলেন কিন্তু রাইট পরবর্তীতে সেটি নিজের নামে চুরি করে নেন। ক্লেইম্যান কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি মারা যান। বিটকয়েন উদ্ভাবনের পুরো প্রক্রিয়ার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয় ২০০৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে।
নিবন্ধের লেখকের নাম ছিল “সাতোশি নাকামোতো”। এরপরে রাইট ২০১৬ সাল থেকে নিজেকে নাকামোতো বলে পরিচয় দেন। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে নিবন্ধটির লেখকের আসল নাম প্রকাশ করা হয়, সেটি তার ছদ্ম নাম ছিল। আদালতে প্রমাণ হবার পরও রাইটের নিজেকে নাকামোতো বলে দাবি করার বিষয়টা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।