দেশটির সেনাবাহিনী অ্যকাউন্ট হ্যাক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, হ্যাকাররা ঠিক কখন অ্যাকাউন্টগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেই বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
হ্যাক এর শিকার হয়েছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর টুইটার এবং ইউটিউব অ্যাকাউন্ট। বিভিন্ন ক্রিপ্টোমুদ্রা জালিয়াতির প্রচারণায় ব্যবহৃত হয়েছে অ্যাকাউন্টগুলো। তবে, সেই পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়েছে।
“সেনাবাহিনীর টুইটার ও ইউটিউব অ্যাকাউন্টে আক্রমণের বিষয়টি নিয়ে অবগত আছি আমরা এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।” –টুইটারে বলেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ অফিস। “সেনাবাহিনী তথ্য সুরক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে এবং এই সমস্যার সমাধান করছে।
”ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর টুইটার পেইজ দখল করে এর ‘প্রোফাইল পিকচার’, ‘বায়ো’ এবং ‘কভার ফটো’ পাল্টে দিয়েছিল হ্যাকাররা। ফলে, সেনাবাহিনীর অ্যাকাউন্টটি ‘দ্য পজেসড এনএফটি’ সংগ্রহের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি অ্যাকাউন্টের মতো দেখাচ্ছিল।
অ্যাকাউন্টটি থেকে এনএফটি প্রদানের বিভিন্ন রিটুইট করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর জন্য পিন করা টুইটে একটি ভুয়া এনএফটি মিনটিং ওয়েবসাইটের লিংকও দিয়েছিল হ্যাকাররা।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ইউটিউব চ্যানেল থেকে সব ভিডিও মুছে দিয়েছে হ্যাকাররা। এর পর চ্যানেলটির নাম বদলানোর পাশাপাশি প্রোফাইল পিকচারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ‘আর্ক ইনভেস্ট’-এর ছবি জুড়ে দেয় তারা।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ভিডিও সরিয়ে হ্যাকাররা টুইটারের সাবেক সিইও জ্যাক ডরসি এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্কের কয়েকটি পুরনো লাইভস্ট্রিম আপলোড করে। জুন মাসে আর্ক ইনভেস্ট আয়োজিত ‘দ্য বি ওয়ার্ড’ সম্মেলনের অংশ ছিল এসব লাইভস্ট্রিম।
একটি ক্রিপ্টো জালিয়াতিতে অংশ নিতে এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহ বাড়ানোর জন্য ভিডিওতে একটি ‘ওভারলে’ যোগ করেছিল হ্যাকাররা। চ্যানেলটি থেকে একসঙ্গে চারটি লাইভস্ট্রিম প্রচারিত হয়। এদের কয়েকটি লাইভস্ট্রিম দেখেছে বেশ কয়েক হাজার দর্শক।
যেসব স্ক্যামার ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অ্যাকাউন্টের দখল নিয়েছিল, সাম্প্রতিক অতীতেও তারা একই পন্থা অবলম্বন করে বিভিন্ন স্কিমের প্রচারণা করেছে বলে ব্লগিং সাইট ‘ওয়েব৩ ইজ গোইং জাস্ট গ্রেইট’-এর ব্লগার মলি হোয়াইট চিহ্নিত করেছেন।
মার্চে পেশাদার গেইমার ‘এমকেলিও’র টুইটার অ্যাকাউন্টও হ্যাক করেছিল তারা। এই ঘটনার দুই মাস পর আর্ক ইনভেস্টের একই লাইভস্ট্রিম ব্যবহার করে ১৩ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছিল হ্যাকাররা।
টুইটার মুখপাত্র রোসিও ভাইভস প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জকে বলেছেন, ঘটনাটির পর থেকে ‘লকড এবং নিরাপদ’ আছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্ট। এ ছাড়া, অ্যাকাউন্টটির প্রকৃত মালিকরা অ্যাকাউন্টগুলোর প্রবেশাধিকার পুনরায় ফিরে পেয়েছেন ও স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ভার্জ গুগলের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর মেলেনি।