২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বিক্রির হিসাব প্রকাশ করেছে বাজার বিশ্লেষক সংস্থা দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন বা আইডিসি। আর এই ফলাফল তাদের কাছে বিপর্যয় হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। একদিকে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো থেকে লাখ লাখ কর্মী অপসারণ , অপরদিকে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি। আর এই দুইয়ের যোগফলে স্মার্টফোন বাজারে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিক্রয় ধসের ঘটনা ঘটেছে গেল প্রান্তিকে। গত বছর সর্বমোট একশ ২১ কোটি স্মার্টফোনের শিপমেন্ট হয়েছে।
আইডিসি বলছে, ২০১৩ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন বার্ষিক শিপমেন্ট এটিই। বছরে স্মার্টফোনের শিপমেন্ট কমেছে ১৮ দশমিক তিন শতাংশ। আর কোনো একক প্রান্তিকে সবচেয়ে বড় ধসের ঘটনা এবারই ঘটলো। বছরের শেষ প্রান্তিকে এ হার ১১ দশমিক তিন শতাংশ। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের সেরা পাঁচ স্মার্টফোন বিক্রেতা কোম্পানি হলো অ্যাপল, স্যামসাং, শাওমি, ওপো ও ভিভো। ২০২২ সালে স্মার্টফোন বাজারের ২১ দশমিক ছয় শতাংশ শেয়ার নিয়ে শীর্ষস্থান স্যামসাংয়ের দখলে।
১৮ দশমিক আট শতাংশ শেয়ার নিয়ে অ্যাপলের অবস্থান দ্বিতীয়। আর ১২ দশমিক সাত শতাংশ শেয়ার নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে শাওমি। এই ধসের সবচেয়ে কম প্রভাব পড়েছে অ্যাপলের ওপর। চতুর্থ প্রান্তিকে এই আইফোন নির্মাতা কোম্পানির বিক্রি কমেছে ১৪ দশমিক নয় শতাংশ। আর স্যামসাংয়ের বেলায় তা ১৫ দশমিক ছয় শতাংশ। তবে, সাড়ে ২৬ শতাংশ বিক্রি কমায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে শাওমি। আইডিসি জানায়, ২০২৩ সাল একটি সতর্কতার বছর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কারণ বিক্রেতারা নিজেদের ডিভাইসের পোর্টফোলিও পুনর্বিবেচনা করবে।
আর সরবরাহের চ্যানেলগুলোও অতিরিক্ত পণ্য মজুদের আগে দুবার চিন্তা করবে। তবে ইতিবাচক দিক হলো, ২০২৩ সালে ভোক্তারা হয়তো তুলনামূলক সাশ্রয়ী অফার ও সুযোগ খুঁজে দেখবেন। এ ছাড়া, বাজার ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি ডিভাইসের বিক্রি বাড়ানো বিশেষ করে উচ্চমানের মডেলগুলোর বেলায় নতুন উপায় খুঁজে দেখার বিষয়টিও বিবেচিত হবে। আইডিসি আরও বলছে, গ্রাহকরা আগের তুলনায় দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ধরে রাখছেন। বেশিরভাগ প্রধান বাজারে নতুন স্মার্টফোন কিনতে গ্রাহকরা সময় নিচ্ছেন ৪০ মাস।