Reading Time: 2 minutes

যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পাইরেটেড ইবুক সংগ্রহশালা পরিচালনার অভিযোগে দুই রুশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া রুশ নাগরিকদের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ওয়বেসাইটটি চালু হয়েছিল ২০০৯ সালে। অনলাইন লাইব্রেরিটিতে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি ই-বুক ছিল। প্রযুক্তিভিত্তিক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, ১ কোটি ১০ লাখের বেশি বই এবং গবেষণা প্রতিবেদন ছিল ওয়েবসাইটটির ডেটাবেইজে এবং বিনা খরচে ডাউনলোড করে পড়া যেত বই এবং গবেষণা প্রতিবেদনগুলো।

ব্যয়বহুল পাঠ্যপুস্তক কেনার সামর্থ্য নেই এমন শিক্ষার্থীদের কাছে আলাদা কদরের জায়গা তৈরি করে নিয়েছিল ওয়েবসাইটটি। ভার্জ জানিয়েছে, নভেম্বরের শুরুতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিজেদের বিশ্বের বৃহত্তম ইবুক লাইব্রেরি হিসেবে দাবি করতো জি-লাইব্রেরি (Z-Library)। মাসের শুরুতেই জি-লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর আলোড়ন তুলেছিল সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে। বিশেষ করে আর্থিক সীমাবদ্ধতায় থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর এর প্রভাব ছিল আলোচনার মূল বিষয়। 

ভার্জ আরও জানিয়েছে, লেখকদের সংগঠন ‘অথর্স গিল্ড’ ৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের কাছে চিঠি লিখে আন্তন নাপোলস্কি এবং অ্যালেরিয়া এরমাকোভার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর এক মাসের মধ্যে গ্রেপ্তার হলেন দুই রুশ নাগরিক। চিঠিতে অথর্স গিল্ড অভিযোগ করেছিল, ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যের বইয়ের উৎস হিসেবে টিকটকে জি-লাইব্রেরি নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং এর হ্যাশট্যাগটি ভিডিও প্ল্যাটফর্মে ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। 

অভিযোগে পাইরেট করা ইবুকের আরেক লাইব্রেরি লিবজেন এর নামও উল্লেখ করেছিল অথর্স গিল্ড। দুই চোরাই ইবুকের ডিজিটাল পাঠাগারের কারণে লেখক সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল তাদের। যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগ জানিয়েছে, রুশ নাগরিক আন্তন নাপোলস্কি এবং অ্যালেরিয়া এরমাকোভাকে মার্কিন সরকারের অনুরোধে আর্জেন্টিনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ নভেম্বর। কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাড়াও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে, জি-লাইব্রেরি বন্ধ করে দিয়ে এর ডোমেইন জব্দ করেছে মার্কিন সরকার। তবে, ডার্ক ওয়েব থেকে কিছু ব্যবহারকারী এখনও ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে পারছেন বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকা। রুশ নাগরিকদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এফবিআইয়ের সহকারি পরিচালক মাইকেল ড্রিসকোল এক বিবৃতিতে বলেছেন, আসামী দুজন এক দশকের বেশি সময় ধরে একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করেছে যার কেন্দ্রীয় উদ্দেশ্য ছিল চোরাই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের জোগান দেওয়া। 

বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরির অপরাধ ভুক্তভোগীকে কঠোর শ্রমের কামাই থেকে বঞ্চিত করে।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.