পেনিনসুলার দক্ষিণে অবস্থিত জিব্রাল্টার একসময়ে ‘ট্যাক্স হেভেন’ হিসেবে পরিচিতি ছিল। সম্প্রতি ব্লকচেইন প্রতিষ্ঠান ভ্যালেরিয়াম এই জিব্রাল্টারের স্টক এক্সচেঞ্জ কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।আইবেরিয়ান ভ্যালেরিয়ামের প্রস্তাব অনুমোদন পেলে জিব্রাল্টার ডোজকয়েন ও বিটকয়েনসহ অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রা লেনদেন প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি প্রচলিত বন্ডের লেনদেন হবে বলে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের ‘গ্লোবাল হাব’ হিসেবে জিব্রাল্টার আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট ব্লকচেইন প্রতিষ্ঠানের জিব্রাল্টারের শেয়ার বাজার কেনার প্রস্তাবকে ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে দেখছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে যে সব যদি ঠিকঠাক মতো হয়, তবে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলটি ক্রিপ্টোকারেন্সির ঊর্ধ্বমুখী বাজারের কেন্দ্র পরিণত হবে। কিন্তু উল্টোটা হয়ে পরিস্থিতি যদি নেতিবাচক দিকে মোড় নেয় তবে সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি জিব্রাল্টার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে। গেল দুই বছর বিটকয়েনের মূল্য লক্ষণীয় হারে বেড়েছে, ইথার এবং ডোজকয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রাগুলোর বাজারমূল্য ও বেড়েছে।
যদিও এটি সত্য যে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে ইলন মাস্ক এবং জ্যাক ডরসি’র মতো প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের ভূমিকা চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তবে এই প্রসঙ্গে ভ্যালিরিয়াম এবং জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু বলেনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আর অপেক্ষমান চুক্তি প্রসঙ্গে তারা কেউ কিছু বলেনি। বিভিন্ন সময়ে টুইটারসহ বিভিন্ন মূলধারার মাধ্যমে ডোজকয়েনসহ ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তির পক্ষে মাস্ক কথা বলেছেন। অন্যদিকে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ ছাড়ার পর জ্যাক ডরসি নিজের প্রতিষ্ঠান স্কয়ার এর নাম পাল্টে ‘ব্লক’ রেখেছেন।
প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের এহেন কর্মকাণ্ড দেখে সাধারণ গ্রাহকেরা ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে উৎসাহিত হচ্ছেন।