যুক্তরাজ্য দেশ অনুমতি ছাড়া কারও পর্নোগ্রাফিক ডিপফেক অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে।এর আওতায় আসছে অনুমতি ছাড়া কারো ডাউনব্লাউজ ছবি শেয়ার করার বিষয়টিও। নতুন আইন বলছে, এ ধরনের ছবি শেয়ার করার বেলায় ছবিতে উপস্থাপিত ব্যক্তির অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক হবে। অনলাইন সুরক্ষা আইন সংশোধন করে এ ধরনের অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীরা এখন আরও বেশি ক্ষমতা পাবেন বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।
পর্নোগ্রাফিক ডিপফেক বলতে ছবি বা ভিডিওতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে যৌনতাপূর্ণ উপস্থাপন এবং ডাউনব্লাউজ বলতে কোনো নারীর আংশিক উন্মুক্ত অবস্থা বোঝায়। নতুন প্রস্তাবনার অধীনে, অনুমতি ছাড়া পর্নোগ্রাফিক ডিপফেক শেয়ার করলে কারাদণ্ড হতে পারে। গোপন ক্যামেরাসহ কারও অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা বা রেকর্ড করে, এমন যন্ত্র স্থাপন ঠেকাতেও নতুন আইনটি ব্যবহার করতে চায় দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে যুক্তরাজ্যের বিচার সচিব ডমিনিক রাব বলেছেন, যারা নারী ও মেয়েদের নিপীড়ন করে বা ভয় দেখায়, তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ দেবে এই সংশোধিত আইন। তিনি বলেন, এটি খুবই পরিষ্কার যে মেয়ে ও নারীরা যেন এই আইনে পুরো আত্মবিশ্বাস পান এটাই চান তারা। আর যারা নিপীড়ন, হয়রানি ও ভয় দেখায়, সেই সাথে তাদের ওপর এই আইনের পুরোদস্তর প্রয়োগ দেখাতে চান। নারী ও মেয়েদের সুরক্ষায় অবশ্যই আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
বিশেষ করে এমন লোকদের কাছ থেকে, যারা শিকার বা মানহানীর উদ্দেশ্যে ঘনিষ্ঠ ছবি তোলে বা বিকৃত করে বলে এক বিবৃতিতে বলেন ডমিনিক রাব। দেশটির সংস্কৃতি সচিব মিশেল ডনেলান যোগ করেন, “আইনে সাম্প্রতিক এইসব সংযোজনের মাধ্যমে এই অপরাধ থেকে বিভিন্ন আক্রান্ত নারী ও শিশুর চিরতরে সুরক্ষার প্রশ্নে আরও সামনে এগোবে আমাদের আইন।