নাসা-স্পেস-অ্যাপ-চ্যালেঞ্জ বিজয়ী
Reading Time: 2 minutes

বরাবরের মত এবার ও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও নাসার কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়টি এই প্রথম নয়। ২০১৮ সালেও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বাংলাদেশের খুলনা থেকে মনোনিত দল টিম মহাকাশ এবারের প্রতিযোগিতায় নাসা বেস্ট মিশন কনসেপ্ট শ্রেণিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস জানিয়েছে যে বিশ্বের ১৬২টি দেশের ৪৫৩৪টি দলকে হারিয়ে বাংলাদেশি দল জয় লাভ করে।

নাসার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া বিষয় নিয়ে টিম মহাকাশের প্রতিযোগী সুমিত চন্দ বলেন যে নিজের দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারাটা সবসময় গর্বের। তারা এমন একটা সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করেছে যেটা নিয়ে নাসাসহ পৃথিবীর বড় বড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চাইলেই পৃথিবীর বড় বড় সমস্যার সমাধান বের করে ফেলতে পারে সেটি তারা দেখিয়ে দিতে সক্ষম হয়। নিজেদের এতবড় অর্জনে দলের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, মেন্টর এবং বেসিসের সর্বোপরি ভূমিকা থাকায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সুমিত চন্দ।

টিম মহাকাশের নব উদ্ভোদনকৃত টুল এআরএসএস-অ্যাডভান্সড রিগোলিথ স্যাম্পলার সিস্টেম মূলত ভিনগ্রহে অভিযানের সময় মুক্তভাবে উড়তে থাকা ধুলিকণা নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে। চাঁদে পূর্বের  মিশনগুলোতে উপস্থিত ধূলিকণার মধ্যে কাজ করতে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছিল বলে নভোচারীরা অভিযোগ তুলেছিলেন। মহাজাগতিক রেডিয়েশনের কারণে আয়নিত হওয়া ধূলিকণা স্পেসস্যুট এর গায়ে লেগে থেকে স্যুটের ক্ষতি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। এছাড়াও মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম হওয়ায় সহজেই ধূলিকণা উড়ে স্পেসশীপের চারপাশে ভাসতে থাকে, এর ফলে নমুনা সংগ্রহে নভোচারীদের বেগ পেতে হয়।

এই পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবেলা এড়াতে মহাকাশ টিম একটি টুলসেট উদ্ভাবন করেছে। টুলসেটটি ভাসমান ধূলিকণাকে একটি আবদ্ধ চেম্বারে আটকে ফেলবে। বেসিস এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প জমা পড়েছিলো। বাংলাদেশের ৯টি শহরে একযোগে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অসম্পূর্ণ প্রকল্প বাতিল করার পর যাচাই-বাছাই শেষে ১২৫টি প্রকল্পের প্রতিনিধিরা ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী হ্যাকাথনে অংশ নেন এবং সেরা ২৭টি প্রকল্প নাসার জন্যে বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা হয়।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্জনের উপর ভিত্তি করে বেসিসের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিজয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন যে এ অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

সাবস্ক্রাইব করুন The Penguins Club খবরপত্রিকায়

প্রতি শুক্রবার বিশেষ খবর এবং আলোচনায় অংশগ্রহন করতে আপনার ইমেইল দিন।


Tagged:
About the Author

বিগত প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালেখি করছি - বাংলা লেখিকা

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.