নাসা এবার আইএসএস এ মহাকাশ পর্যটনের মিশনের সময় ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে পিছিয়ে মার্চের শেষে নিয়ে গিয়েছে। আইএসএস এ (আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন) যাওয়ার জন্য তিন শৌখিন মহাকাশচারীকে আরও কয়েক দিন বাড়তি অপেক্ষা করতে হবে। আইএসএস-এ নাসার প্রথম মহাকাশ পর্যটন মিশনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান অ্যাক্সিওম স্পেস বলছে যে মিশন দলটি এখন অভিযানের বাড়তি প্রস্তুতি এবং মহাকাশ স্টেশনে ভীড়ের কারণে নতুন তারিখ ৩১ মার্চে রওনা হতে যাচ্ছে। তারা সফরে তারা গবেষণা এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে কাজ করবেন।
এছাড়াও এর মধ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডস টেক্সাস ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি কারণ হিসেবে ফেব্রুয়ারির শেষের দিক থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত আইএসএসমুখী একাধিক মহাকাশযানের কথা উল্লেখ করেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে। অ্যাক্স-১ মহাকাশ পর্যটন মিশন, যেটিকে নাসা বেসরকারি মহাকাশ মিশন বলছে, সেটি প্রায় এক সপ্তাহ স্থায়ী হবে। এখানে যাত্রার উদ্দেশ্যে কানাডিয়ান বিনিয়োগকারী এবং সমাজসেবী মার্ক প্যাথি, আমেরিকান উদ্যোক্তা ল্যারি কনর এবং ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট ইটান স্টিব্বে থাকবেন।
প্যাথি, কনর এবং স্টিব্বে মহাকাশ পর্যটন ভ্রমণের জন্য প্রত্যেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার প্রদান করেছেন। নাসার সাবেক নভোচারী মাইকেল লোপেজ অ্যালেগ্রিয়া মিশন কমান্ডার হিসেবে থাকবেন। অ্যাক্স-১ মিশনটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করে ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান উৎক্ষেপণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করবে। অ্যাক্স-১ মহাকাশ পর্যটনে নাসার প্রথম অভিজ্ঞতা হলেও নাসা এবং রাশিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রস কসমস বছরের পর বছর ধরে এ ধরনের মিশন পরিচালনা করেছে। গেল ডিসেম্বরেই সয়ুজ মহাকাশযান ব্যবহার করে রস কসমস দুই জাপানি মহাকাশ পর্যটককে আইএসএস-এ পৌঁছে দিয়েছিল।
তারা প্রায় ১২ দিন মহাকাশে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন। রসকসমসের আইএসএস-এর জন্য তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। এই ধরনের বাণিজ্যিক মিশনে সাধারণ নাগরিকদের জন্য মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ বাড়ছে। যদিও খুব ধনীরাই কেবল এর সুযোগ হাত করে নিতে পারছেন।