এ মাসের শুরুতেই টোঙ্গা দ্বীপপুঞ্জের দ্যা হোম রিফ আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট নতুন দ্বীপটির ছবি ও তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে নাসার আর্থ অবজার্ভেটরি। প্রশান্ত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে জন্ম নিচ্ছে একটি নতুন দ্বীপ, জ্বালামুখ থেকে বেরিয়ে আসা উত্তপ্ত ছাই, লাভা আর পাথর শীতল হয়ে নতুন দ্বীপ গঠনের বিষয়টি নাসার স্যাটেলাইটে দেখা গিয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরের নতুন দ্বীপটির ছবি শেয়ার করেছে তারা।
স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে পানির রঙ ছিল সবুজ। সাগরতলের আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা ছাই, বাষ্প আর লাভার কারণেই পানির রঙ পাল্টে গেছে বলে আর্থ অবজার্ভেটরি জানিয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের নানা নতুন নতুন আবিষ্কারের ছবি ও তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে জনসাধারণকে জানায় নাসার আর্থ অবসার্ভেটরি উদ্যোগ। প্রশান্ত মহাসাগরের যে অঞ্চলে নতুন দ্বীপটি গঠিত হচ্ছে, শক্তিশালী ও সক্রিয় আগ্নেয়গিরির উপস্থিতির জন্য পরিচিতি আছে ওই পুরো অঞ্চলের।
নতুন দ্বীপের চারপাশের পানির সবুজ রঙের ব্যাখ্যা দিয়ে নাসা বলেছে, তাদের আগের গবেষণা থেকে পাওয়া আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসছে উত্তপ্ত বাষ্প, অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়েছে সাগরের নোনা জলে, আগ্নেয়গিরির পাথরের ভগ্নাংশ এবং প্রচুর সালফারও বেরিয়ে আসছে। টোঙ্গা জিওলজিকাল সার্ভিস এর সর্বশেষ তথ্য বলছে, সমুদ্রের পানি থেকে দ্বীপটির উচ্চতা এখন ৫০ ফুট এবং আকারে ৮.৬ একর। সাগরতলের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নতুন দ্বীপ তৈরির ঘটনা নতুন কিছু নয়।
কখনো কখনো অগ্ন্যুৎপাতেই ক্ষয় হয়ে সাগরে বিলিন হয়ে যায় নতুন দ্বীপগুলো। হোম রিফের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ১৮৫২, ১৮৫৭, ১৯৮৪ এবং ২০০৬ সালেও নতুন দ্বীপের জন্ম হয়েছিল বলে জানিয়েছে সিনেট। কিন্তু পরে সেগুলো সাগরেই হারিয়ে গেছে। এ বছরই সাগরতলের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পরেছিল টোঙ্গা। সে ঘটনায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে শক ওয়েভের ধাক্কা মহাকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
সে তুলনায় ‘হোম রিফ’ এর অগ্ন্যুৎপাতকে সহনীয়ই বলা চলে। ১০ সেপ্টেম্বর সক্রিয় আগ্নেগিরিটি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার ১১ ঘণ্টার মধ্যে পানির ওপরে উঁকি দিয়েছে নতুন দ্বীপ। তবে হোম রিফ আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও অগ্ন্যুৎপাতের আওতায় থাকা এলাকা নাবিকদের এড়িয়ে চলতে বলেছে সংস্থাটি।