এফটিএক্স ধসের বিষয়টি উল্লেখ করে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে কোম্পানিটি। এবার ক্রিপ্টো শিল্পে এফটিএক্স ধস নিয়ে কথা থামার আগেই মার্কিন আদালতে দেউলিয়া হওয়ার আবেদন করেছে নিউ জার্সিভিত্তিক ক্রিপ্টো ঋণদাতা ব্লকফাই। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রিপ্টোমুদ্রার দাম কমে যাওয়ায় এই বছরের শুরুতে এফটিএক্স-এর সঙ্গে একটি রেস্কিউ ডিল করেছিল ব্লকফাই। তবে, এই মাসের শুরুতে ধসের মুখে পড়ে এফটিএক্স নিজেই।
এর ফলে, নিজস্ব ক্রিপ্টোমুদ্রা তুলে ফেলেন অনেক কারবারী। এ ছাড়া, ক্রিপ্টো কিং ল হিসেবে পরিচিত সাবেক এফটিএক্স প্রধান স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিডের পদত্যাগের পাশাপাশি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। ব্লকফাই বলেছে, প্ল্যাটফর্ম পুনর্গঠন, নিজস্ব ঋণের নিষ্পত্তি ও বিনিয়োগকারীর অর্থ পুনরুদ্ধারে নিরাপত্তার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে তারা। এই ধসের কারণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ক্রিপ্টো খাতের গ্রহনযোগ্যতা। এ ছাড়া, নিয়ন্ত্রকদের তদন্তের মুখেও পড়েছে তারা।
ব্লকফাই বলেছে, চ্যাপ্টার ১১ দেউলিয়া সুরক্ষা কোম্পানিকে একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা সাজানোর সুযোগ দেবে, যা তাদের মূল্যবান ক্লায়েন্টসহ সকল অংশীদারের জন্যই লাভজনক হবে।নকোম্পানিটি বলেছে, তাদের কাছে এখন প্রায় ২৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার নগদ আছে। শুরু থেকেই ক্রিপ্টো শিল্পকে ইতিবাচক আকার দেওয়া ও এই খাতের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করেছে ব্লকফাই বলে জানিয়েছেন কোম্পানির আর্থিক পরামর্শক মার্ক রেঞ্জি। তিনি আরো বলেন ব্লকফাই এমন একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় আছে, যা সকল ক্লায়েন্ট ও অন্যান্য অংশীদারের জন্য সবচেয়ে ভালো ফলাফল নিয়ে আসবে।
ক্রিপ্টোমুদ্রা ও প্রচলিত আর্থিক পণ্যের মেলবন্ধনের জায়গা হিসেবে নিজেদের প্রচারণা চালাতো ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্লকফাই। এফটিএক্স পতনের ঘটনাকে ভয়ানকহিসেবে ব্যাখ্যা করেছে ক্রিপ্টো ঋণের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সেবা দেওয়া ব্লকফাই। আদালতের এক ফাইলিংয়ে, এক লাখেরও বেশি পাওনাদারের অর্থ পাওনা থাকার কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি। এফটিএক্স কে নিজেদের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাওনাদার হিসেবে তালিকায় রেখেছে তারা।
যেখানে এই বছরের শুরুতে ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর পর তাদের বকেয়া সাড়ে ২৭ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেরও তিন কোটি ডলার পাওনা আছে ব্লকফাইর কাছে। এই বছরের শুরুতে তারা খুঁজে পায়, সঠিক উপায়ে পণ্য নিবন্ধনে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি নিজস্ব ঋণ কার্যক্রমে ঝুঁকির মাত্রা সম্পর্কে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছে এই কোম্পানিটি।