দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সাইট দ্যা ইলেকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ডিসপ্লে উৎপাদন সামগ্রীতে খরচ হবে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার কিন্তু পরের বছর এটি ৬৩ শতাংশ কমে ৪৪০ কোটি ডলার হবে। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির প্রভাবে প্রযুক্তি খাতের পণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বি। এ অবস্থায় দুই বছরের মধ্যে ডিসপ্লে উৎপাদন খাতে ব্যয় কমতে শুরু করেছে। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ডিসপ্লে সাপ্লাই চেইন কনসালট্যান্টসের বা ডিএসসিসি তথ্যমতে, চলতি বছরের তুলনায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ডিসপ্লে উৎপাদন সামগ্রীর ব্যয় কমবে।
এর আগে ডিএসসিসি খাতটিতে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ব্যয়ের যে সম্ভাব্য আভাস দিয়েছিল তার চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে। সংস্থাটি বলছে চলতি বছর খাতটিতে ব্যয় হ্রাসের আরেকটি কারণ হলো স্যামসাংয়ের নতুন এক কারখানায় ডিসপ্লে উৎপাদন ব্যয়ে দেরি করেছে। এছাড়া ডিসপ্লে খাত থেকে সামগ্রিকভাবে লাভ কমে যাওয়ার কারণেও এমনটা ঘটেছে। লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লের বা এলসিডির দাম এ বছর সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে।
তবে ডিএসসিসি উল্লেখ করেছে, সামগ্রিক ডিসপ্লে ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে ওলেড। খাতটিতে ব্যয় বাড়বে, যা ভবিষ্যতের মোট প্রবৃদ্ধি বাড়াবে। ডিএসসিসি জানিয়েছে, ডিসপ্লে উৎপাদন খাতের ব্যয় ২০২৩ সালে কমলেও ২০২৪ সালে আবার বেড়ে ৮৩০ কোটি ডলার হতে পারে। চলতি বছরের প্রত্যাশিত ব্যয়ের মধ্যে এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭০ শতাংশ। সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে খাতটিতে যে ব্যয় হবে তার পরিমাণ ২০১২ সালের পর সর্বনিম্ন।